Advertisement
E-Paper

আবাসনের সামনে অসুস্থ বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ, রহস্য

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে ওই আবাসনের তেতলায় থাকতেন অশ্রুকণা। তিনি দীর্ঘদিন অ্যালঝাইমার’স-এ ভুগছিলেন। ২০০১ সালে ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছিল বৃদ্ধার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৭:০৫
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

একটি সরকারি আবাসনের সামনে থেকে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ায়। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার দানেশ শেখ লেনে। অশ্রুকণা মোদক নামে ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধাকে এ দিন আবাসনের সামনে মাঠের ধারে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই বৃদ্ধার স্বামী দেবব্রত মোদককে খবর দেন। তিনি এসে দেখেন, মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন স্ত্রী। এর পরেই খবর যায় থানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে ওই আবাসনের তেতলায় থাকতেন অশ্রুকণা। তিনি দীর্ঘদিন অ্যালঝাইমার’স-এ ভুগছিলেন। ২০০১ সালে ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছিল বৃদ্ধার। তবে সম্প্রতি তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার বাঁ হাতের কব্জির কাছে কাটা ছিল। ঘর থেকে মিলেছে একটি রক্তমাখা ছুরি। রক্তের দাগও মিলেছে ঘরে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই ছুরি দিয়ে হাত কেটে বৃদ্ধা আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কী ভাবে তিনি তেতলা থেকে নামলেন, সেই রহস্য কাটেনি।

বৃদ্ধার ছেলে সুব্রত মোদক বলেন, ‘‘মা ঘরেই ঠিক মতো হাঁটতে পারতেন না। তিনি কী ভাবে নীচে গেলেন, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।’’ জানা গিয়েছে, এ দিন ঘটনার সময়ে ফ্ল্যাটে ছিলেন সুব্রতর বৃদ্ধা শাশুড়ি। অশ্রুকণার স্বামী দেবব্রত দোকানে গিয়েছিলেন। সুব্রত ও তাঁর স্ত্রী, দু’জনেই গিয়েছিলেন অফিসে। সুব্রত জানান, তাঁরা সকলে বেরিয়ে যাওয়ার পর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিন্তু, মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি এসে দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। ওই যুবক বলেন, ‘‘মা পড়ে যাবেন বা আত্মহত্যা করবেন বলে মনে হয় না। কী ভাবে মৃত্যু হল, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’

Howrah Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy