Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Anis Khan

Anis Khan: ‘উঁচুতলাকে বাঁচাতে বলি নিচুতলাকে’! আনিস-কাণ্ডে ধৃত পুলিশের পরিবারও সিবিআই তদন্ত চায়

কাশীনাথ এবং প্রীতমের গ্রেফতারের খবর জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। তবে এর পরেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের পরিবার।

আনিস-কাণ্ডে সিবিআই দাবি ঝৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী রাখিরও।

আনিস-কাণ্ডে সিবিআই দাবি ঝৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী রাখিরও। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:২৮
Share: Save:

ছাত্রনেতা আনিস খানের খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। সেই আবহে এ বার সিবিআই তদন্ত চেয়ে বসলেন ওই ঘটনায় ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা।
বুধবার আনিস হত্যায় কাশীনাথ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের খবর জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। এর পরেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের পরিবার। ভাইয়ের হত্যায় কারা জড়িত তা জানতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরেই ভরসা রাখছেন আনিসের দাদা সাব্বির খান। আনিসের বাবা সালেম খানের কথাতেও এর আগে উঠে এসেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। এ বার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুললেন ওই কাণ্ডে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথের স্ত্রী রাখি। স্বামীর গ্রেফতারের খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। সিবিআই তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। আসল দোষী করা তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’

রাখির দাবি, পুলিশের উঁচুতলার কর্তাদের নির্দেশ ছাড়া তাঁর স্বামীর মতো নিচুতলার কর্মীরা তল্লাশিতে যেতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘এটা খুনের ঘটনা কি না তা-ও দেখা হোক। সত্য সামনে আসুক।’’ বছর চারেক আগে চাকরি পেয়ে হাওড়া পানিয়ারার পুলিশ লাইনে যোগ দিয়েছিলেন কাশীনাথ। সাড়ে তিন বছর সেখানে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর পর আমতা থানায় হোমগার্ড হিসেবে যোগ দেন মাস দেড়েক আগে।

আনিস-কাণ্ডে অন্য অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম বছরখানেক ধরে কাজ করছেন আমতা থানায়। ঘটনার পর থেকেই তাঁর বাড়ি তালাবন্ধ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anis Khan arrest police Investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE