দূষিত: বিসর্জনের পর পুকুরের জলে ও পাড়ে পড়ে প্রতিমার কাঠামো। আরামবাগের ব্লক পাড়াতে। নিজস্ব চিত্র
প্রতিমা বিসর্জনের পরেই বৃহস্পতিবার লোকলস্কর নামিয়ে এলাকার পুকুরগুলি সাফ করে দিয়েছিল আরামবাগ পুরসভা।কিন্তু শুক্রবার উল্টো ছবি। সকাল থেকে পুর এলকার পুকুরঘাটগুলি বিসর্জনের দূষণে ছয়লাপ। বিভিন্ন পুকুরে ভাসতে দেখা গিয়েছে প্রতিমার কাঠামো, ফুল, মালা।
এই পুর এলাকায় বিসর্জনের জন্য মোট ১৭টি চিহ্নিত ঘাট রয়েছেয় তার মধ্যে একটি দ্বারকেশ্বর নদের। বাকিগুলি বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুকুর। পুকুরগুলির মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পোলট্রি ঘাট, ২ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর ঘাট এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল ডাক্তারের পুকুরঘাটেই শহরের অনুমোদিত এবং পারিবারিক মিলিয়ে অন্তত ৫০টি প্রতিমার অধিকাংশই বিসর্জন দেওয়া হয়।
এ দিন বিসর্জনের আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, শহরকে বিসর্জনের দূষণমুক্ত করা নিয়ে পুরসভার প্রথম দিনেই খালি তৎপরতা থাকে। এরপরে স্থানীয় মানুষ বা পুকুর-মালিকরাই ভরসা। পুকুরে ফেলা পুজো-বর্জ্য সরাতে পুরসভা তৎপর না হলেও বিক্রি করার যোগ্য প্রতিমার কাঠামো-সহ বেশ কিছু বর্জ্য সরিয়ে নিতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় কিশোরদের।
পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারীর আশ্বাস, “রাতে পুরসভার সমস্ত প্রতিমা ভাসান সম্পূর্ণ হবে। সেই পর্ব শেষ হলে দফায় দফায় প্রতিটি ঘাটে বিসর্জনের ফুল, মালা, কাঠামো ইত্যাদি সরিয়ে ফেলা হবে।” তিনি আরও জানান, প্রতিটি ঘাটের জন্য পুরসভার সাফাই বিভাগের কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্সের লোকেরাও আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy