হাওড়ার বাঁকড়া-কাণ্ডের এক মাস পরেও শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসকির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবারই পুলিশি হেফাজত থেকে ফের জেল হেফাজতে গিয়েছে শ্বেতা। আদালতে জামিন পেয়ে সে যাতে কোনও মতেই এলাকায় ঢুকতে না পারে, তার জন্য ইতিমধ্যেই পাড়ায় পোস্টার সাঁটাতে শুরু করেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। শুক্রবার রাত থেকেই সেই সব পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে। তবে,পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাড়িতে ঢোকার অধিকার কেউ জোর করে কেড়ে নিতে পারেন না। সেই অধিকারে কেউ বাধা দিলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
উত্তর ২৪ গরগনার বাসিন্দা এক তরুণীকে বাঁকড়ার বাড়িতে এনে দু’মাস ধরে আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগে পুলিশ গৃহকর্ত্রী শ্বেতা খান, তার ছেলে আরিয়ান খান ও বোন জোয়া খানকে গ্রেফতার করে। গত জুন মাসের প্রথম দিকে ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকার লোকজন শ্বেতার বিভিন্ন কাণ্ডকারখানা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই মহিলা দোতলার ফ্ল্যাটে নানা অসামাজিক কাজ করতেন। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত নানা ধরনের লোকজনের যাতায়াত ছিল। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশি হয়রানি করত শ্বেতা।
শুক্রবার এলাকার বাসিন্দা পান্না গাজি ও মহম্মদ ইনতিয়াজ বলেন, ‘‘ফুলটুসকির জঘন্য অপরাধের জন্যই তাকে পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতন করতেই এলাকায় ব্যানার ও পোস্টার দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, আজ, শনিবার সকাল থেকেই ফুলটুসকির বিরুদ্ধে আরও ব্যানার-পোস্টার বাঁকড়ার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাবে। বিশেষ করে, বাঁকড়া বাজার, ফকিরপাড়া ও পেয়াদাপাড়ায় ব্যানার ও পোস্টার মারা হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে, জেল হেফাজত থেকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এসে ফুলটুসকি কোনও জালিয়াতি করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন ডোমজুড় থানার তদন্তকারীরা। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, শ্বেতার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতেই তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। ফের আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)