অষ্টমীর রাতে হাওড়ায় খুন হয়েছেন বিহারের ব্যবসায়ী সুরেশ যাদব (৫৫)। কিছু দিন আগে দুর্গাপুজো উপলক্ষে সস্ত্রীক হাওড়ায় এসেছিলেন তিনি। বনবিহারী বসু লেনে কয়েক জন বাইকে চেপে এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছেন। এখনও দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গেল, প্রতি বছরই পুজোর সময় সুরেশ হাওড়ায় আসতেন। কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরোতেন। হাওড়ায় ছিল তাঁর নিজস্ব ফ্ল্যাট। তবে সুরেশের নামে অতীতে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। রয়েছে একাধিক অপরাধের অভিযোগ। মঙ্গলবারের ঘটনার সঙ্গে সেই অতীতের যোগ রয়েছে কি না, খোঁজ করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বিহারের বাসিন্দা হলেও হাও়ড়়ায় কিছু আত্মীয় ছিল সুরেশের। সেই সূত্রেই দীর্ঘ দিন ধরে যাতায়াত ছিল। ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বছর দশেক আগে। প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় তো আসতেনই, অন্যান্য সময়েও প্রয়োজনে আসতেন এবং কিছু দিন থেকে যেতেন। বিহারের গোপালগঞ্জ এলাকায় তাঁর বাড়ি। মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী এবং আত্মীয়দের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, সুরেশের নামে বিহারে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সাত বছর তিনি জেল খেটেছেন। বিহারের দুষ্কৃতী বাহিনীর সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল। আগে এক বার তাঁকে খুনের চেষ্টাও করা হয়। সম্প্রতি ব্যবসায়িক কারণে তাদের সঙ্গে কোনও মতানৈক্য হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাওড়ায় তাঁকে কে বা কারা খুন করল, এখনও পুলিশের কাছে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
ঠিক কী ঘটেছিল অষ্টমীর রাতে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বনবিহারী বসু লেনের সন্ধ্যাবাজার এলাকা দিয়ে হাঁটছিলেন সুরেশ। সেই সময় আচমকা কয়েক জন বাইকে করে আসেন এবং তাঁকে ঘিরে ফেলেন। পর পর চলে গুলি। মুহূর্তে সুরেশ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এর পর আততায়ীরা চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুরেশকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অষ্টমীর রাত হাওড়ায় জমজমাট ছিল। রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা ছিল না। প্রকাশ্যে এমন খুনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে।