মৃত ওয়াজুল খান এবং তৃণমূলনেত্রী মালতী রায়। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ওয়াজুল খানের খুনের ঘটনায় নাম জড়াল হাওড়া জেলার এক তৃণমূলনেত্রীর। নিহত ওয়াজুলের পরিবারের লোকের অভিযোগ, মৌরিগ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেত্রী মালতী রায় এই খুনের চক্রান্ত করেছেন। ট্যাঙ্কার মালিকদের থেকে জোর করে তোলাবাজির প্রতিবাদ করাতেই ওয়াজুলকে দুষ্কৃতীরা খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।
সোমবার রাতে নিজের বাড়ির কাছেই ওয়াজুলের উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই পাঁচ জনই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওয়াজুলের পরিবারের লোকের অভিযোগ, খুনের মূলচক্রীরা এখনও অধরা। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। ওয়াজুলের ছেলে এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকরা আমার বাবার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরই তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছিলেন বাবা। জেলা নেতৃত্বের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই খুনের হুমকি আসতে থাকে।’’ যদিও ওয়াজুলকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালতী রায়।
ওয়াজুলের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে হাওড়া সদরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেছেন, ‘‘সন্দেহভাজন হিসাবে কেউ কারওর নামে অভিযোগ করতেই পারে। তবে আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওয়াজুল খান বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই এলাকায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর খুনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে।’’ বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘রাজ্যে দুষ্কৃতীরাজ চলছে। শাসকদলের নেতাদেরই খুন করা হচ্ছে। প্রশাসন ব্যর্থ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy