Advertisement
E-Paper

Howrah: মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, শিশুর দেহ দাবি কিশোরীর পরিবারের

শিশুটির মৃত্যু কী ভাবে হল, তা নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। যদিও তদন্তকারীরা মোটামুটি নিশ্চিত যে, দেহটি ওই বহুতলের নীচে নিয়ে এসে ফেলা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ০৭:০৬
পুলিশের দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পুলিশের দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রতীকী ছবি

হাওড়ার শিবপুরে একটি বহুতলের নীচ থেকে বৃহস্পতিবার যে সদ্যোজাত শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার মা সম্ভবত এলাকারই এক কিশোরী। পুলিশের দাবি, শুক্রবার ওই কিশোরীর পরিবার বিষয়টি মেনে নিয়ে মৃতদেহ দাবি করেছে। যদিও পুলিশ প্রমাণের অভাবে এখনও তাদের হাতে দেহ তুলে দেয়নি।

শিশুটির মৃত্যু কী ভাবে হল, তা নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। যদিও তদন্তকারীরা মোটামুটি নিশ্চিত যে, দেহটি ওই বহুতলের নীচে নিয়ে এসে ফেলা হয়েছিল। উপর থেকে ফেলা হয়নি। তাকে খুন করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাই খুনের মামলাও রুজু করা যায়নি। পুলিশের দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার ওই ঘিঞ্জি এলাকায় একটি বহুতলের নীচে নর্দমার স্ল্যাবের উপরে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, শিশুটিকে ওই বহুতলের উপর থেকে নীচে ফেলা হয়েছে। সেই আওয়াজও নাকি তাঁরা পেয়েছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ নিশ্চিত যে, শিশুটিকে সেখানে নিয়ে এসে ওই স্ল্যাবের উপরে ছুড়ে ফেলা হয়। যার জেরে তার মাথার পিছনে আঘাত লাগে। পুলিশের বক্তব্য, বহুতলের উপর থেকে ফেলা হলে শিশুটির দেহে আরও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন থাকত। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন, এলাকারই এক কিশোরী শিশুটির মা। সেই কারণে বৃহস্পতিবারই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে এ দিন সকালে পুলিশের সঙ্গে দেখা করে শিশুটি তাদেরই বলে দাবি করা হয়। দেহটিও দাবি করেছে ওই পরিবার। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ দিতে অস্বীকার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি যে ওই পরিবারেরই, তার প্রামাণ্য নথি জমা দিতে হবে। কিন্তু রাত পর্যন্ত নথি জমা দিতে পারেনি ওই পরিবার। ফলে শিশুটির দেহ মর্গেই পড়ে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পিছনে যে যুবক দায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে মেয়েটির পরিবারকে। কিন্তু রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তারা নিতে আসেনি শিশুটির দেহও। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বললেন, ‘‘ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলেই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। এর পাশাপাশি, ময়না তদন্তে যদি জানা যায়, শিশুটিকে খুন করা হয়েছে, তা হলে খুনিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Child death New Born Girl Child
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy