মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নের সভাঘর থেকে পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিকাশি, জঞ্জাল অপসারণ, বেআইনি বহুতল এবং পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করতে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ‘বকুনি’ খেয়ে এ বার ঘুম ভেঙেছে হাওড়া পুরসভার। বৃহস্পতিবার পুর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দলের সমস্ত বিধায়ক, প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতা পেলে নিকাশি, জঞ্জাল অপসারণ, পানীয় জল ও বেআইনি বহুতলের সমস্যা মেটাতে অনেকটাই সফল হব। এ নিয়ে শীঘ্রই প্রশাসনিক বৈঠক হবে।’’
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় জমা জঞ্জাল, ফুটপাত দখল করে থাকা হকার, সামান্য বৃষ্টিতে জল জমা ও বেআইনি বহুতল নিয়ে হাওড়া পুরসভাকে তুলোধোনা করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন পুর চেয়ারপার্সন গত তিন বছরে বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দেন। সুজয় বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে নগরোন্নয়ন দফতরের অনেক সাহায্য পেয়েছি। তবে, এখনও বহু কাজ বাকি।’’
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি নাকি কারও কথা শোনেন না। গা-জোয়ারি খাটান। এই প্রসঙ্গে পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘হাওড়ার উন্নয়নের কাজে আমিই যদি অন্তরায় হতাম, তা হলে মধ্য, উত্তর, দক্ষিণ হাওড়া এবং শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বিধায়কদের জানিয়ে করতাম না। প্রতিটি কেন্দ্রের বিধায়ককে জানিয়ে তাঁদের এলাকায় কাজ করেছি। কেউ বলতে পারবেন না, তাঁকে জানানো হয়নি।’’ সুজয় জানান, সারা দিন ধরে আবর্জনা তোলার জন্য নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। সেগুলি রিলে পদ্ধতিতে দিনভর আবর্জনা তুলবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)