নিজস্ব চিত্র
দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রস্তাব তৃণমূলের সদস্যদের। হুগলি জেলার পুরশুড়ার চিলাডাঙি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলের ১৪ জন সদস্য। সোমবারই তাঁরা স্থানীয় বিডিও অফিসে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।
চিলাডাঙি পঞ্চায়েতে ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। এঁদের মধ্যে এক জন বিজেপি-র, বাকি ১৮ জন তৃণমূলের। তৃ্ণমূল সদস্যদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে পঞ্চায়েতের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি নিজের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে কারওর সঙ্গে আলোচনা করছেন না। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের আট লাখ টাকার কোনও হিসাব দিতে পারছেন না প্রধান। তাঁর পরিবারের লোকজনদের নিয়ে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। উপপ্রধান ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।
উল্টো দিকে, গত ২৮ জুন পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকাকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে দলেরই সদস্যদের বিরুদ্ধে। পাল্টা চিলাডিঙি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেণুকা বারিক অভিযোগ করেন , ‘‘প্রধান কারওর মতামতকে পাত্তা দেন না। আট লক্ষ টাকার হিসাব তিনি দিতে পারেননি। কিছু বলতে গেলে জাত-পাত তুলে অপমান করেন।’’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন প্রধান। তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘ব্লকে প্রস্তাব জমা পড়া মানেই অনাস্থা নয়। দল দেখবে, কেন সদস্যরা অনাস্থা এনেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy