গোলাপ তুলছেন এক চাষি। — নিজস্ব চিত্র।
দাম নেমে এসেছে ৫-৭ টাকায়। কিন্তু গোলাপের ক্রেতা কই?
আজ প্রেমদিবস। অথচ, প্রেমিক-প্রেমিকারা এ বার যেন গোলাপের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন! এমনটাই মনে করছেন বাগনানের গোলাপ-চাষিরা।
প্রতি বছরই ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র ক’দিন আগে থেকে গোলাপের দাম চড়তে থাকে। গত বছর এই বিশেষ দিনে এক-একটি গোলাপ বিকিয়েছে ১২-১৫ টাকায়। বাগনানের দেউলটিতে প্রচুর গোলাপ চাষ হয়। এই সময়ে চাষিদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। বাড়তি লাভ করেন তাঁরা। কিন্তু এ বার এক-একটি গোলাপের দাম ৫-৭ টাকায় নেমে এলেও চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন ওই চাষিরা। লকডাউন পর্বে এবং তার পরেও করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের ফুল বিক্রি হয়নি বললেই চলে। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় তাঁরা ভেবেছিলেন, ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’ ক্ষতি পুষিয়ে দেবে। কিন্তু হল না।
কেন? প্রেম তো উধাও হয়নি।
চাষিদের একাংশ জানিয়েছেন, স্কুল খুললেও কলেজ এখনও বন্ধ। কলেজের সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ-তরুণীরাই বেশি গোলাপ কেনেন। কিন্তু কলেজ বন্ধ থাকায় তাঁরা একযোগে বা দল বেঁধে আসতে পারছেন না। ফুলচাষি কাশীনাথ করের কথায়, ‘‘নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলেছে। কলেজও যদি খুলত, তা হলে হয়তো খানিকটা লাভের মুখ দেখা যেত। তা হল না।’’
অন্য একটি সমস্যার কথা শুনিয়েছেন পুলক ধাড়া নামে আর এক ফুলচাষি। তিনি বলেন, ‘‘এই সময়ে এখানকার গোলাপ ভিন্ রাজ্যেও যায়। কিন্তু এখনও অনেক এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়নি। গোলাপ পাঠাব কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy