হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকা থেকে উদ্ধার নিখোঁজ শ্রমিকের কঙ্কাল। শুক্রবার এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁকরাইল স্টেশনে রেলওয়ে ওভারব্রিজের কাজ হচ্ছিল। এক ঠিকাদারের অধীনে সেখানে কাজ করছিলেন ৬-৭ জন শ্রমিক। ঘটনার রাতে শ্রমিকরা কাজের শেষে একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময়ে নিজেদের মধ্যে পুরনো কোনও ঘটনা নিয়ে বচসা শুরু হয়। হাতাহাতির সময় লক্ষ্মণ দাস নামে বছর ৩৭-এর এক শ্রমিকের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। প্রমাণ লোপাট করার জন্য ওই শ্রমিকের দেহ পুঁতে ফেলেন সঙ্গীরা।
ওই ঘটনার দিন কয়েক পর কাজ শেষ হলে শ্রমিকেরা যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা লক্ষ্ণণের কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। ছেলের খোঁজ না পেয়ে পরে বসিরহাটের মেটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মা। অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্ণণের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। টানা খোঁজখবরের পরে বৃহস্পতিবার রাতে সাঁকরাইল থানার পুলিশ মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, কঙ্কালটি নিখোঁজ শ্রমিকের।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনার তদন্তে নেমে তাপস সরকার নামে ২৯ বছরের এক শ্রমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল মেটিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। জেরায় তাপস গন্ডগোল এবং লক্ষ্মণের মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাপসই পুলিশকে ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি জায়গা দেখিয়ে দেন। ওই জায়গায় মাটি খুঁড়ে পুলিশ লক্ষ্মণের কঙ্কাল উদ্ধার করে। কঙ্কালটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদ্যপানের পর হঠাৎ অসুস্থতা অথবা নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। এই ব্যাপারে ঠিকাদার এবং অন্যান্য শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পুলিশ সূত্রে খবর।