তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার আগেই দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের ত্রিপুরার ফলাফল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। দাবি করলেন বিজেপির গুন্ডামি, লুটপাটের কারণেই হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। অভিষেক বলেন, ‘‘মানুষ যা রায় দিয়েছে তা আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু ভোটের দিন গুন্ডামি, লুটপাট ও ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আপনাদের ক্যামেরায় ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে, বুথে এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি, প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে গণদেবতাই আসল, মানুষ যা রায় দিয়েছে তা আমরা মাথা পেতে নেব।’’
চারটি আসন মিলিয়ে ৪২০৯টি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। যা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। বরং সুরমা কেন্দ্রে ভাল ফলের আশা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সবক’টি আসনেই চার নম্বরে শেষ করে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।অভিষেক বলেছেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন বা দেননি তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করতে আগামী দিনে বদ্ধপরিকর। যতদিন না ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ততদিন তৃণমূল একচুলও জমি ছাড়বে না। যে মানসিকতা নিয়ে লড়াই শুরু করেছিলাম সেই মানসিকতা নিয়েই আগামী দিনে আপনাদের স্বার্থে লড়ব।’’
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে বিধানসভার ভোট হবে। এই দুই রাজ্যের ভোটে অংশগ্রহণ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই এই উপনির্বাচনে শোচনীয় ফলাফল হলেও, হার মানতে নারাজ অভিষেক। দিল্লিতে যশবন্ত সিন্হা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করবেন। ওই মনোনয়ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে রবিবার দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক। সোমবার সেখানে মনোনয়ন দাখিলের সময় থাকবেন তিনি। দিল্লি থেকেই মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হতে পারেন।
২৯ জুন তাঁর শিলং যাওয়ার কথা। সেখানে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি, দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও পরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy