Advertisement
E-Paper

দু’দিনে পুলিশের দুই ছবি দেখল কলকাতা

দু’দিনেই অনেকটা বদলে গেল কলকাতা পুলিশ! সোমবার বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশ ছিল মারমুখী। রক্তাক্ত মানুষকেও মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে। বাদ যাননি বয়স্ক-মহিলারাও। সাংবাদিকদেরও ফেলে মেরেছিল পুলিশ।

শিবাজী দে সরকার ও কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০৪:১৪
সতর্ক: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জলের বোতল এগিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

সতর্ক: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জলের বোতল এগিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

দু’দিনেই অনেকটা বদলে গেল কলকাতা পুলিশ!

সোমবার বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশ ছিল মারমুখী। রক্তাক্ত মানুষকেও মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে। বাদ যাননি বয়স্ক-মহিলারাও। সাংবাদিকদেরও ফেলে মেরেছিল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সেই পুলিশই অনেক সংযত। তাদের উপরে বোমা পড়েছে, ২০ জন পুলিশ ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন, খোদ ওসি-র জিপ পুড়েছে। তার পরেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সতর্ক হয়ে পরিস্থিতি সামলেছে পুলিশ।

সোমবার বামেদের অন্দোলনে কলকাতায় জলকামান ব্যবহার করেনি পুলিশ। এ দিন তৈরি ছিল তা। বিজেপির মিছিলগুলিকে শহরে ঢোকার মুখেই নির্বিষ করে দিতে পেরেছে পুলিশ। যেখানেই মিছিল দানা বেঁধেছে, পুলিশ মাইকে জমায়েতকে অবৈধ ঘোষণা করে নেতাদের ভ্যানে তুলে নিয়েছে। আর নেতারা সরে যেতেই নির্বিষ হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ।

এ দিন বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে রাহুল সিংহ এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিলটি গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের মুখে ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছে গেলেও পুলিশ তাড়াহুড়ো করেনি। আন্দোলনকারীদের ঠেলতে ঠেলতে পিছনে সরিয়ে নিয়ে যায় তারা। বিজেপির কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। ৪০ মিনিট পর জমায়েতকে বেআইনি ঘোষণা করে লাঠি চালানো শুরু করে। তবে বেশির ভাগই পড়েছে বাইরে।

দাউদাউ: ব্যস্ত রাস্তায় সবার সামনেই পুড়ছে পুলিশের গাড়ি। বৃহস্পতিবার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বিজেপি কর্মীদের কীর্তি। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

সোমবার পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া যে ভাবে সরব হয়েছে, তাতে বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই মনে করেছে লালবাজার। সাংবাদিক পেটানোর ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। এর পরে বুধবার রাতেই বাহিনীকে সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিশনার।

কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) সুপ্রতিম সরকার এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, বিক্ষোভকারীরা গোলমালের প্ররোচনা দিলেও পুলিশ সংযত ছিল। সুপ্রতিমবাবুর দাবি, ‘‘পুলিশের দিকে বোমা, ইট, পাথর ছোড়া হয়েছে। তবুও বাহিনী সংযত থেকে সামাল দিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: চোখ এড়িয়ে সটান হানা লালবাজারে

শেষরক্ষা হল না দু’টি ঘটনায়। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি-র গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর মিছিলকারীদের তাড়া করে পুলিশ। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকেও লাঠিচার্জ করা হয়। মার খান কিছু যাত্রীও।

অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যে ভাবে বিজেপির দফতরে ঢুকে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে, সেটাও তাদের সারা দিনের আচরণের উল্টো।

বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রতিমবাবুর মন্তব্য, ‘‘ভিডিও ফুটেজ থাকলে দিন, ব্যবস্থা নেব।’’ আর বিজেপি অফিসে ঢোকা নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘সেখান থেকে পুলিশকে ইট ছোড়া হচ্ছিল।’’

Lalbazar BJP Rally BJP Worker Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy