প্রতীকী ছবি
বেনিয়াপুকুরের একটি আবাসনে টানা ১৯ ঘণ্টা পড়ে রইল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত এক বৃদ্ধার দেহ। শেষমেশ স্থানীয় বিধায়ক হস্তক্ষেপ করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহটি ধাপার শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় সৎকারের জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার সিআইটি স্কিমের একটি আবাসনের দোতলায় বোনের সঙ্গে থাকতেন ৭১ বছরের ওই অবিবাহিতা বৃদ্ধা। সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথমে তালতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে প্রায় আট দিন থাকার পরে বিলের অঙ্ক খুব বেশি হয়ে যাওয়ায় পরিজনেরা তাঁকে বেলেঘাটার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠার পরে গত ২৬ জুলাই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
আবাসন সূত্রের খবর, গত বুধবার সকালে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। সে দিনই বিকেল ৫টা নাগাদ মারা যান তিনি। এর পরে সন্ধ্যায় মৃতার পরিজনেরা দেহ নিয়ে যেতে শববাহী গাড়ি ডাকেন। সেই সঙ্গেই তাঁরা খোঁজ শুরু করেন এমন কোনও চিকিৎসকের, যিনি বাড়িতে এসে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেবেন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আবাসনের বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁদেরই এক জন বাবুল দাস বলেন, ‘‘মৃতার কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছিলাম। কেউ দেখাতে পারেননি। তাই বেনিয়াপুকুর থানায় পুলিশকে ফোন করে জানাই।’’
রাতে পুলিশ এসে অনেক চেষ্টা করেও মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বেনিয়াপুকুর থানার ওসি স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। স্বর্ণকমলবাবু কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিককে ফোন করেন। তার পরে এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পুরসভার গাড়ি এসে বৃদ্ধার দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy