Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sinusitis

ফুলছিল চোখ, তীব্র ব্যথা, বিরল রোগে আক্রান্ত বছর ছয়েকের রুদ্রাঞ্জনের দৃষ্টি ফেরাল অ্যাপোলো

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল দুর্গাপুরের বাসিন্দা রুদ্রাঞ্জন। প্রথমে তার জ্বর হয়েছিল। সঙ্গে ছিল সর্দিকাশিও। ওষুধ খেয়ে জ্বর কমে গেলেও, রুদ্রাঞ্জনের চোখ ক্রমশ ফুলতে শুরু করে।

সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৪১
Share: Save:

সাইনুসাইটিসের রোগী। সেই সঙ্গে ডান চোখে শুরু হয়েছিল সেলুলাইটিসও। এমন বিরল রোগে আক্রান্ত বছর ছয়েকের রুদ্রাঞ্জন সিন্‌হার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিল কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। চিকিৎসকদের মতে, সারা পৃথিবীতে ১ শতাংশেরও কম শিশু এই রোগে আক্রান্ত হন।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ে দুর্গাপুরের রুদ্রাঞ্জন। প্রথমে তার জ্বর হয়। সঙ্গে ছিল সর্দিকাশি। ওষুধ খেয়ে জ্বর কমে গেলেও, রুদ্রাঞ্জনের চোখ ক্রমশ ফুলতে শুরু করে। সঙ্গে ছিল ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখ নাড়ানোর অসুবিধার মতো উপসর্গও। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েও সুস্থ হচ্ছিল না রুদ্রাঞ্জন। গত ১০ ডিসেম্বর রুদ্রাঞ্জনকে তার বাবা-মা ভর্তি করেন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে। নাক, কান এবং গলার চিকিৎসক শান্তনু পাঁজা তার চিকিৎসা শুরু করেন। সিটি স্ক্যানে জানা যায়, রুদ্রাঞ্জনের সাইনুসাইটিস রয়েছে। সেই সঙ্গে ডান চোখে রয়েছে অরবাইটাল সেলুলাইটিসও।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ ডিসেম্বর চিকিৎসক শান্তনু অস্ত্রোপচার করেন রুদ্রাঞ্জনের। তাঁরা চোখ এবং সাইনাসে জমে থাকা পুঁজ এবং অন্যান্য জিনিস বার করে দেন। চোখের চাপ থেকে স্বস্তি মেলায় এবং পুঁজ বার হয়ে যাওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রুদ্রাঞ্জনের শারীরিক অবস্থান নাটকীয় উন্নতি হয়। তার চোখ ফোলার সমস্যা কেটে যায়। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং রং দেখার ক্ষমতাও সম্পূর্ণ ফিরে আসে। হাসপাতালে থাকার সময় শিশুর দেখভাল করেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক মৌলিক এবং তাঁর দল। দুর্গাপুরের বাসিন্দা রুদ্রাঞ্জনের বাবা-মা নিশ্চিন্ত এবং খুশি যে যথাসময়ে রুদ্রাংশুর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসায় খুশি তার বাবা এবং মা। চিকিৎসক কৌশিক বলেন, ‘‘সাইনাস থেকে সংক্রমণ চোখে ছড়িয়ে গিয়েছিল। আই সকেটে পুঁজ জমে গিয়েছিল। বাচ্চাটা খুবই অসুস্থ ছিল। চোখের মণির নড়াচড়া কমে গিয়েছিল এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। এটা সাইনাস সংক্রমণের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা। সময় মতো চিকিৎসা না হলে বাচ্চার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sinusitis Eye test Eyesight Apollo Hospitals
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE