ফাইল ছবি
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভর্ৎসনা করলেন রেজিস্ট্রারকে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনও ভাবেই উপাচার্য কোনও কাজ করতে পারেন না।
বেতন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর উপাচার্য পদে আসেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি শ্রুতিকে জানান, প্রাপ্য বেতনের থেকে অনেক বেশি তাঁকে দেওয়া হয়েছে। ১৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বলেন।
সাধারণত এই ধরনের কোনও সমস্যা আট জন শিক্ষককে নিয়ে তৈরি একটি বিশেষ কর্মসমিতি সমাধান করে। সেখানেই শুনানির পর নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর উপাচার্য একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেন।
উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শিক্ষিকা শ্রুতি। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ‘‘বিশ্বভারতীর নিয়মের বাইরে গিয়ে উপাচার্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বেতন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ওই কর্মসমিতিতেই নিতে হবে। পাশাপাশি, উপাচার্যের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy