প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধাননগর পুর এলাকায় সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। গত অক্টোবর থেকে ওই রোগে একাধিক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ বার তাই সোয়াইন ফ্লু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পথে নামতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা।
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে কী কী করণীয়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল নির্বাচনের আগেই। কিন্তু কর্মীর অভাবে সেই কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে সূত্রের খবর। ভোট মিটতেই এ বার এ নিয়ে সচেতনতার প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। সূত্রের খবর, আপাতত বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট বিলির কথা ভাবা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে ওই রোগ ঠেকাতে সাধারণ মানুষের কী কী করণীয়, ওই লিফলেটে তা লেখা হয়েছে।
সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি বিধাননগর পুর এলাকার কেষ্টপুরে এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে সল্টলেকেও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল ওই রোগে। তার মাঝে আরও এক বাসিন্দা জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর শরীরেও সোয়াইন ফ্লু-এর উপসর্গ দেখা গিয়েছিল বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
ফলে বিধাননগর পুর এলাকায় এই রোগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে প্রশাসন লাগাতার মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে। সেই অনুযায়ী সাধারণ মানুষও রোগ প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ করছেন। কিন্তু সোয়াইন ফ্লু নিয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর কমে যাওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, সময়ে রোগ নির্ণয় করতে না পারলে জটিলতা বাড়বে। জ্বরে আক্রান্তদের বাইরে বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মুখে বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
যদিও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এই রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে এবং পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের কথায়, ‘‘বায়ুবাহিত এই রোগ ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিংবা কী ভাবে মানুষকে সচেতন করা উচিত, তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে পদক্ষেপ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে সচেতনতার প্রসারে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই আপাতত লিফলেট বিলি করা হবে। এর পরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy