Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

‘ছটমাইয়া আপনাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিন’, পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

মমতা বলেন, ‘‘এই সময়ে গন্ডগোল বাঁধানোর ছক করতে পারে অনেকে। কিন্তু কেউ তাতে পা দেবেন না। সবাই ধীরেসুস্থে পুজো দেবেন।’’

একটি ছটপুজোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একটি ছটপুজোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি: ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫৭
Share: Save:

তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বেকারদের কর্মসংস্থান এবং রাজ্যে শিল্প আনাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতার নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েও মমতার মুখে বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা। বললেন, ‘‘ছটমাইয়ার কাছে প্রার্থনা করি, যেন আপনাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি হয়। সবাই ভাল থাকে।’’

মমতার বার্তা ছটপুজোর সময় অশান্তির কোনও ঘটনা যেন না ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। জানান, ভক্তদের কথা মাথায় রেখে এ বার আরও পুকুরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কারও কোনও অসুবিধা হলে যেন স্থানীয় প্রশাসন বা ক্লাবে জানান। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরেই মমতা বলেন, ‘‘এই সময়ে গন্ডগোল বাধানোর ছক কষতে পারে অনেকে। কিন্তু কেউ তাতে পা দেবেন না। সবাই ধীরেসুস্থে পুজো দেবেন।’’

প্রসঙ্গত, ছটপুজো আসলে সূর্যপত্নীর পুজো। ছট মাতাকে আর এক মতে ঊষা বলা হয়। এই পুজোয় কোনও মূর্তি স্থাপন করা হয় না। আগে ছটপুজো উপলক্ষে রাজ্যে একটি দিনই ছুটি থাকত। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,‘‘পরে আমি জানতে পারি যে ছটপুজো আসলে দু’দিনের।’’ এ কথা ভেবেই গত বছর থেকে রাজ্যে ছটপুজোয় দু’দিনের জন্য ছুটি।

গত বার ছটপুজোয় ব্রত রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। বলেন, “মহিলারা তো তিন দিন আগে থেকে ছটপুজো শুরু করে দেন। যেমন আমি। শুধু চা খেয়েছি। আর কিছু খাইনি। কারণ, কাল থেকে আমিও ছট পুজার ব্রত রেখেছি।” এ বারও ব্রত করেছেন কি না জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে ঠেকুয়া প্রসাদের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE