করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। নেই আইসিইউ, আইটিইউয়ের ব্যবস্থাও। তাই কোভিড হাসপাতাল হলেও এখনই গুরুতর ভাবে অসুস্থ কোভিড রোগীদের ভর্তি করানো যাচ্ছে না উত্তর হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আইটিইউ বা আইসিইউ না থাকায় এখন শুধু উপসর্গহীন রোগীদের সেখানে রাখা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি বুঝলে কোনও কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে হাওড়া শহরে সত্যবালা আইডি হাসপাতাল-সহ মোট দু’টি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু হাওড়ায় করোনার প্রকোপ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আরও একটি সরকারি হাসপাতালকে পুরোপুরি ভাবে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
স্থির হয়, ২৬০টি শয্যার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে এ বার থেকে শুধু করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা করা হবে। আর ওই হাসপাতালে আসা অন্য রোগীদের পাঠানো হবে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এ জন্য বন্ধ থাকা জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগও ধাপে ধাপে চালু করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে এত দিন ডেঙ্গির পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা হত। এ ছাড়া বহির্বিভাগে নিত্যদিন প্রচুর রোগী দেখাতে আসতেন। গত মে মাসে জেলা প্রশাসন ওই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু তার পরেও সেখানে উপযুক্ত আইসিইউ না থাকায় ‘লেভেল ফোর’ (গুরুতর অসুস্থ) করোনা রোগীদের ভর্তি করানো যাচ্ছে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের আইসিইউয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি হলে তবেই লেভেল ফোর রোগীদের সেখানে ভর্তি নেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আইসিইউ, আইটিইউ-সহ হাসপাতালের আরও কিছু পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে পূর্ত দফতর। কিন্তু এই কাজে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এখনও কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। সেটা করলেই কাজ শুরু হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ওই হাসপাতালের ভিতরের পরিস্থিতি এবং পরিকাঠামোগত মান অত্যন্ত খারাপ। তাই সেটিকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার আগে তার খোলনলচে পুরোপুরি ভাবে বদলে ফেলতে হবে। কিন্তু তার জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তা বর্তমানে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে নেই। তাই ওই হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা থাকলেও তা আদৌ কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব, তা নিয়েই সন্দিহান অনেকে।
আরও পড়ুন: খুনের পিস্তল কি ছিল স্ত্রীর বন্ধ ফ্ল্যাটেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy