কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ।
গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। লাগামছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব সর্বত্র। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের উৎসবে মহানগরীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মাস্কহীন ভিড়ের ছবি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কোভিডবিধি মেনে চলায় এই অনীহা নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বললেন, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে তো একনায়কতন্ত্র চলে না।’’
কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন করার সব রকম প্রয়াস আমরা করতে পারি। কিন্তু কাউকে জোর তো করতে পারি না। পুলিশকে বলব আরও কড়া হতে। পাঁচ-ছ’বার নিউ মার্কেট থানা আর লালবাজারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। রাস্তার হকাররা যাতে মাস্ক পরেন, সেটা দেখতে বলেছি। আর একটু কড়া হতে পারলে এই ঢেউ শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।’’
এরই পাশাপাশি ফিরহাদ জানান, কলকাতায় ২৫টি জায়গায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কনটেনমেন্ট জোন) করা হয়েছে। কোনও আবাসনে ৪-৫ জন আক্রান্ত হলেই ওই জায়গাকে ছোট গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে। এ বার আর এলাকাভিত্তিক নয়, গণ্ডিবদ্ধ এলাকা করা হচ্ছে আবাসন বা বাড়িকে।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রত্যেক বাজার এলাকাকে স্যানিটাইজ করা হবে। বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম-সহ মোট তিনটি সেফ হোম চালু করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy