Advertisement
E-Paper

কোভিডের আবহে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জোর গঙ্গাসাগরে 

৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৫৭
— ফাইল চিত্র

— ফাইল চিত্র

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা ভেবেই এ বছর স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় মেলায় কোন কোন বিশেষ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই মতো মেলা শুরুর যাবতীয় পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। গঙ্গাসাগর ও বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, এ বার মেলায় পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল থাকবে। মোট ৬৫৮টি শয্যা থাকছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বুথ থাকছে ৩৮টি। অন্য বছরের তুলনায় এ বার চিকিৎসকের সংখ্যা দ্বিগুণ এবং নার্সের সংখ্যাও তিন গুণ বেশি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার মূল প্রবেশপথ ও বাফার জ়োনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলায় ঢোকার দশটি প্রবেশপথে দিনরাত মিলবে করোনার র‌্যাপিড পরীক্ষার ব্যবস্থা। বঙ্গনগর বাফার জো়ন, ফলতা, রামজননগর–কুলপি, কাকদ্বীপের হালদার চক, কাকদ্বীপ রেলস্টেশন, হারউড পয়েন্ট, লট এইট, নামখানা রেল স্টেশন, বেণুবন ফেরিঘাট, কে টু বাসস্ট্যান্ড ও সাগরমেলা গ্রাউন্ডে দর্শনার্থীদের দেহের তাপমাত্রা মাপার পরে প্রয়োজনে ওই পরীক্ষা হবে।

প্রতিটি পয়েন্টে কোভিড ম্যানেজমেন্ট টাস্ক ফোর্স থাকবে। এ ছাড়াও মেলায় ১১টি কোয়রান্টিন সেন্টার ও আটটি সেফ হোম থাকবে। কোয়রান্টিন সেন্টারে ৬৪৫টি এবং সেফ হোমে ৬১৫টি শয্যা থাকছে। অস্থায়ী হাসপাতাল থেকে কোনও রোগীকে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হলে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি, ডায়মন্ড হারবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এম আর বাঙুর ও বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে এই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় মৃতদেহ সৎকারের জন্য ছ’টি করে কবরস্থান ও চুল্লির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যান্য বছরের মতো এ বারেও মেলায় একই রকম ভিড় হবে ধরে নিয়েই কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুতি সারা হয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “মেলায় স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও দূরত্ব-বিধির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে অতিরিক্ত অস্থায়ী হাসপাতাল ও র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা থাকছে। থাকছেন অনেক বেশি সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।”

Gangasagar Mela 2020 Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy