বিদ্যাসাগরের মূর্তি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
মঙ্গলবার দুপুর একটা। উপলক্ষ, বিদ্যাসাগরের মূর্তি উদ্বোধন। হেয়ার স্কুলের মাঠে চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান। অভিযোগ, সে সময়ে হঠাৎই হিন্দু স্কুল থেকে শোনা যায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এক বার নয়, বেশ কয়েক বার। এমনই জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আর সেই স্লোগান শুনেই রীতিমতো তৎপর হয়ে উঠল পুলিশ।
এ দিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি উদ্বোধন উপলক্ষে গোটা কলেজ স্ট্রিট জুড়ে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সকাল থেকে হিন্দু স্কুলের ছাদে মোতায়েন ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। ২০ জন পুলিশের একটি দল ছিল হিন্দু স্কুলের গেটের সামনেও। কে বা কারা ওই স্লোগান দিলেন, তা দেখতে স্কুলে ঢোকে তারা। কলেজ স্ট্রিটের দিকে থাকা ক্লাসঘরগুলির জানলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্কুল ভবনের প্রতিটি তলে টহল দিতে শুরু করেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।
তবে তাঁদের স্কুলের কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছিলেন কি না, সে ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত। তিনিও এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। শুভ্রজিৎবাবু বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগান কেউ দিয়েছিলেন কি না জানি না। কারণ, তখন আমি স্কুলে ছিলাম না। পরে আমাকে জানানো হয়, স্কুলে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন কয়েক জন পুলিশকর্মী দোতলা ও তেতলায় গিয়ে কলেজ স্ট্রিটমুখী ঘরগুলির জানলার পাশে ছাত্রদের বসতে বারণ করেন এবং বেঞ্চ সরিয়ে নিতে বলেন। তবে এর জন্য ক্লাসের রুটিনে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।’’
অন্য দিকে কলেজ স্ট্রিট চত্বরে পুলিশ মর্গের কাছে একটি গেস্ট হাউস থেকে এ দিন পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পদযাত্রা করে বিদ্যাসাগর কলেজের দিকে যাওয়ার সময়ে ওই যুবকেরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া এবং ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা বেলুন ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy