প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি-সহ একাধিক মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এলাকার কোথাও জল জমে রয়েছে কি না, তা ঘুরে দেখছেন পুরকর্মীরা। পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের এ নিয়ে সচেতন করার কাজও চলছে। তা সত্ত্বেও বিস্তীর্ণ এলাকার সর্বত্র পুরকর্মীদের পক্ষে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। তাই এ বার এলাকায় মশার আঁতুড়ঘর খুঁজে পেতে ড্রোন ওড়াল বিধাননগর পুরসভা।
সোমবার দুপুরে বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওড়ানো হয় ড্রোন। দত্তাবাদের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়, স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত প্রমুখ। এ দিন মেয়র জানান, এলাকার কোথায় জল জমে রয়েছে বা কোথায় ঝোপজঙ্গল তৈরি হয়েছে, সে সব জানা যাবে ড্রোনের সাহায্যে। এর জেরে মশার প্রকোপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এমন জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে পুরসভার পক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। সূত্রের খবর, এ দিন দত্তাবাদে ড্রোনের ক্যামেরায় এলাকার আবর্জনাময় পুকুর, নিকাশি নালার উপরে দখলদারি এবং তার জেরে নালা অবরুদ্ধ হওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। এই সব ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু একটি ওয়ার্ডেই নয়। মশার আঁতুড়ঘর সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পেতে প্রতিটি ওয়ার্ডেই ড্রোন চালানো হবে। প্রতি দিন পুরকর্মীদের থেকে এই সংক্রান্ত যে তথ্য পাওয়া যায়, ড্রোনের সাহায্যে তা-ও যাচাই করা সম্ভব হবে। তার পরে যে সব জায়গায় মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে অথবা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে মশার লার্ভা ধ্বংস করা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রতিরোধকমূলক কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy