দু’জনেই ছিলেন কাউন্সিলর। সেই সঙ্গে বরো চেয়ারম্যানও। এক জন প্রয়াত হয়েছেন বছরখানেক আগে। অন্য জন মারা গিয়েছেন মাসখানেক আগে। অভিযোগ, তাঁদের মৃত্যুর পরে সেই জায়গায় নতুন করে কেউ নির্বাচিত না হওয়ায় বিভিন্ন পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় বার্ধক্যজনিত সমস্যায় মারা যান বছরখানেক আগে। অন্য দিকে, পাকস্থলীর রোগে আক্রান্ত হয়ে মাসখানেক হল মাত্র ৫৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডটি বেহালায়। আর ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড জোকায়। পুরসভা সূত্রের খবর, দু’জায়গায় দুই বরো কোঅর্ডিনেটর না থাকায় এলাকার বাসিন্দারা বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয় সইসাবুদ করানো দরকার, তা করাতে পারছেন না।
পুরসভা সূত্রের খবর, মানিকলালবাবু মারা যাওয়ার পরে বরো কোঅর্ডিনেটরের অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ নম্বর বরোর এক ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের অভিযোগ, ‘‘মানিকলালবাবু যে ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর ছিলেন, তার আশপাশের কোনও ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হলে ভাল হত। তা হলে তিনি ওই ওয়ার্ডের পাশাপাশি বরো কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্বও পালন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে অপেক্ষাকৃত দূরে থাকা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওঁকে তো অধিকাংশ সময়েই পাওয়া যায়