Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
smog

Smog: কুয়াশা-পথের বিপদ রুখতে সতর্কতাই ভরসা!

খুব বেশি হলে গাড়ির ঠিক সামনের এক হাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। চারপাশের বাকি সব কিছুই আবছায়া।

খুব বেশি হলে গাড়ির ঠিক সামনের এক হাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।

খুব বেশি হলে গাড়ির ঠিক সামনের এক হাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫২
Share: Save:

খুব বেশি হলে গাড়ির ঠিক সামনের এক হাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। চারপাশের বাকি সব কিছুই আবছায়া। কোনও মতে সামনের গাড়ির বা সিগন্যালের আলো দেখে এগোনো ছাড়া উপায় থাকছে না বহু ক্ষেত্রেই। দিনের শুরুতেই এমন দৃশ্যমানতার অভাব শহর জুড়ে এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে বলে খবর। তার জেরেই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। কিন্তু চলতি বছরেও কিছু রাস্তায় ফ্লুরোসেন্ট রিফ্লেক্টর বা চালকদের সতর্ক করা ছাড়া পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। উল্টে চালকদের সতর্কতার উপরেই বহুলাংশে নির্ভর করছে লালবাজার।

পুলিশ সূত্রের যদিও দাবি, এখনও পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সে ভাবে কোনও মৃত্যুর খবর নেই শহরে। তবে গত কয়েক দিনে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত কয়েকটি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোথাও গাড়ি সরাসরি ধাক্কা মেরেছে পথচারীকে, কোথাও মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে গিয়েছে রাস্তার ধারের গর্ত বা বাতিস্তম্ভে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দৃশ্যমানতার অভাবকেই দায়ী করেছেন গাড়িচালকেরা। সব চেয়ে বেশি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়দান, ই এম বাইপাস এবং বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া এলাকায়। চলতি মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শীতের শুরুর এই সময়ে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

বাড়তে থাকা বিপদের কথা মেনে নিয়েই লালবাজার অবশ্য চালকদের নিজস্ব নিরাপত্তার উপরেই জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। ট্র্যাফিক বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, “আগামী কয়েক দিন ভোরে যাতায়াত যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। ভোরে একান্তই বেরোতে হলে আবহাওয়া দফতরের সে দিনের ঘোষণা অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানোর আরও একটি নিয়ম হল, গাড়ির বাইরের সব আলোর যথাযথ ব্যবহার। লোয়ার বিম তো বটেই, গাড়িতে ফগলাইট থাকলে তা-ও ব্যবহার করতে হবে।’’ পুলিশের পরামর্শ, কুয়াশার মধ্যে কোনও ভাবেই লেন বদলে গাড়ি চালানো যাবে না। গতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে পথ নিরাপত্তার মূল পাঠ ও ট্র্যাফিক সিগন্যাল।

গত কয়েক বছরে অবশ্য এই সব পরামর্শের সঙ্গেই চালকদের ঘুম কাটাতে চা বা জল পানের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। প্রয়োজনে রাস্তায় পাহারায় থাকা পুলিশের সঙ্গে গল্প করে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হত। কিন্তু গত বছর তার কিছুই সে ভাবে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরে পুলিশ এ নিয়ে নতুন কী পরিকল্পনা করে, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

smog
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE