Advertisement
E-Paper

দলত্যাগী বিধায়করা, মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে যেতে বলল বাম-কংগ্রেস

সূত্রের খবর, নবান্ন কিংবা বিধানসভাতেই বিধায়কদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসবে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। 'এক ঢিলে দুই পাখি' মারতে চান বিরোধীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:৪৬
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আব্দুল মান্নান ও সুজীন চক্রবর্তী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আব্দুল মান্নান ও সুজীন চক্রবর্তী।

বিধানসভার অধিবেশন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে বলল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল। তাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করার কৌশল নিল তাঁরা।

রাজ্য সরকার অবিলম্বে বিধানসভা অধিবেশন না ডাকলে ধরনা অবস্থানে বসার হুমকি দিয়েছেন দুই শিবিরের বিধায়করা। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে। সূত্রের খবর, নবান্ন কিংবা বিধানসভাতেই বিধায়কদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসবে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। এই কৌশলে 'এক ঢিলে দুই পাখি' মারতে চান বিরোধী জোটের নেতারা। এখন ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূল বিধায়করা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেছেন। গত কয়েক বছরে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বিধায়কদের দলে টেনে ব্যাপক আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, এখন বিজেপি তৃণমূলের ঘর ভাঙায় উদ্যোগী হয়েছে। এই সুযোগকে অনেকটা 'বদলা' হিসেবেই দেখছে বিরোধী জোটের নেতারা। তাই অধিবেশন শুরু হলে বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দল স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আস্থা ভোটের দাবিতে সরব হবেন।

তাতে একদিকে মমতা ও তাঁর দল যেমন অস্বস্তিতে পড়বে, তেমনই রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতেও সরকারি সিলমোহর পড়বে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বজিৎ দাস, মণিরুল ইসলামের মতো বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, গত ১৮ ডিসেম্বর একঝাঁক বিধায়ক নিয়ে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় জোর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের সেই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেই ফের আঘাত হানতে চায় বাম-কংগ্রেস।

অধিবেশন ডাকতে একযোগে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে এ বিষয়ে আগেই দরবার করেছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু, সেই চিঠির কোনও উত্তর না পেয়ে এ বার আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, "এখন যে পলিটিক্যাল সার্কাস শুরু হয়েছে তাতে রোজই দেখছি তৃণমূল থেকে মন্ত্রী ও বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হবে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের সম্মুখীন হওয়া।" প্রসঙ্গত, পরিষদীয় আইনানুযায়ী, একটি অধিবেশনের সঙ্গে পরের অধিবেশনের ব্যবধান থাকতে পারে সর্বাধিক ১৮০ দিন। সেই অজুহাতে শীতকালীন অধিবেশন এড়িয়ে যেতেই পারে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু, বিরোধী বাম-কংগ্রেস নৈতিকতার অস্ত্রে বিঁধতে চাইছে মমতার সরকারকে।

আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ পাইনি বললেন মমতা, বিজেপি-র অভিযোগ রবীন্দ্র অবমাননার

আরও পড়ুন: শহরে বাড়ছে শিশুশ্রম? বড়দিনের আগে ভিনরাজ্যের আরও পাঁচ শিশু উদ্ধার

Congress CPIM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy