প্রতীকী ছবি।
বাগুইআটিতে তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার তাঁর স্বামী কৌস্তভ সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিজের আবাসনের সামনে থেকে উদ্ধার হয় ২৮ বছরের তিতাস নন্দীর দেহ। প্রতিবেশীদের একাংশ দাবি করেছিলেন, আবাসনের পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিতাসের। নাগেরবাজার থানার পুলিশ অবশ্য সবরকম সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যেই মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার আগেই মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় স্বামীকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর না মেলায় এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসংলগ্ন উত্তর দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় নাগেরবাজার থানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস আগে কৌস্তভের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় তিতাসের। তারপর থেকে দু’জনে আবাসনের একতলায় থাকতেন। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত।
তিতাসের পরিজনেরা জানিয়েছেন, কৌস্তভ কারণে অকারণে মারধর করত তিতাসকে। তিতাসের এক আত্মীয়ের কথায়, “ও (তিতাস) ছোট থেকেই স্বাধীনচেতা। ওর ব্যক্তিগত পরিসরে কারও অকারণ হস্তক্ষেপ ও পছন্দ করত না। এগুলো ওর স্বামী কৌস্তভ মেনে নিতে পারেনি।” নিজেকে তিতাসের দিদি বলে পরিচয় দেওয়া এই আত্মীয়ের দাবি, শুধু কৌস্তভকে নয়, ওর বাবা মাকেও পুলিশ থানায় ডেকে জি়জ্ঞাসাবাদ করুক। এই প্রসঙ্গে অভিযোগকারিণীর যুক্তি, তিতাস বহুবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে তাঁকে মানসিক ভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ করেছিলেন। তিতাসের পরিজনদের আরও অভিযোগ, আবাসনের পাঁচতলার ছাদ থেকে তিতাসকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন কৌস্তভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy