Advertisement
E-Paper

কসবার আইন কলেজে মহিলা কমিশন, নির্যাতিতার বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছে! কঠোর শাস্তির দাবি অভিযুক্তের বাবার

কসবার আইন কলেজের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব জাতীয় মহিলা কমিশন। শুক্রবারই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে তারা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১০:৫৬
National Women\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s Commission is going to Kasbar Law College after incident

কসবার আইন কলেজে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র।

কসবার সেই সরকারি আইন কলেজে গেল জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। রবিবার সকালে কলেজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই দল। তার পরে নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। যদিও ইতিমধ্যেই কমিশনের সদস্যা অর্চনার সঙ্গে বার কয়েক কথা হয়েছে নির্যাতিতার বাবার।

শনিবার নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল কমিশনের প্রতিনিধিদলের। কিন্তু শনিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য নির্যাতিতাকে কলেজে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই কারণে কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁদের বাড়ি যেতে পারেননি। রবিবার সকালেই তাঁরা কসবা থানায় পৌঁছোন। সেখান থেকেই যান কলেজে। তার পরে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।

কসবার আইন কলেজের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব জাতীয় মহিলা কমিশন। শুক্রবারই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে তারা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিশন। কসবার ধর্ষণ মামলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট আকারে কমিশনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

ধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পরের দিনই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের সামনে থেকে। তৃতীয় অভিযুক্তকে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে এই তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিন জনের মধ্যে এক জন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। বাকিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং এই কাজে সাহায্য করেছিলেন। কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে অভিযোগপত্রে ‘অসহায়’ বলে উল্লেখ করেছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বলে জানিয়েছিলেন। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে প্রথমে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

কসবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। সেই একই দাবি শোনা গিয়েছে ঘটনায় ধৃত অন্যতম এক অভিযুক্তের বাবার কণ্ঠেও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানান, তিনি কার বাবা, সেই পরিচয়ের আগে তিনি এক জন ভারতীয়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তার পরেই অভিযুক্তের বাবা বলেন, আদালত এবং কলকাতা পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। যদি তদন্তে দেখা যায় ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর পুত্রের যোগ রয়েছে, তবে অবশ্যই কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক!

পুলিশ অভিযোগপত্রে ধৃত রক্ষী বাদে তিন জনকে ‘এম’, ‘জে’ এবং ‘পি’ বলে উল্লেখ করেছে। ধৃতদের মধ্যে ‘এম’-এর সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের যোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে বিরোধীরা শুরু থেকেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করতে শুরু করেছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অভিযুক্তেরা ছাত্র পরিষদের পদাধিকারী নন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

Kasba Rape Case NCW
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy