সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে এ বার আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন সত্যম সিংহ নামে এক আইনজীবী। পাশাপাশি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা এবং ওই তরুণীর জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানানো হয়েছে আদালতে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, সোমবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এর পরে আবেদনকারীকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কসবার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টেও বেশ কিছু জনস্বার্থ মামলা দায়ের আবেদন জমা পড়েছে। দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছেন মামলাকারীরা। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়োজন নেই। ওই বিষয়ে সকল মামলা দায়ের করে বিপরীত পক্ষকে নোটিস দেওয়া হোক। তার পরে শুনানি চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন আইনজীবীরা। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বস্তুত, কসবার ওই আইন কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জন ওই কলেজের বর্তমান ছাত্র এবং এক জন প্রাক্তনী। ওই প্রাক্তনী আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। তিনিও ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। পরে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে কসবার কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষালের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। প্রথমে সিটে পাঁচ জন সদস্য ছিলেন। পরে তদন্তকারী দলে সদস্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সাত সদস্যের সিট।
(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম কসবার ধর্ষণকাণ্ডে তিন অভিযুক্তের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে)