Advertisement
E-Paper

ট্যাংরাকাণ্ডের ৯৯ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল পুলিশ, দে ভাইদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা?

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একই পরিবারের দুই বধূ এবং এক কিশোরীর দেহ। তিন খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দে বাড়ির দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূনকে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৪:৩৪
ট্যাংরায় তিন খুনের অভিযোগে দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

ট্যাংরায় তিন খুনের অভিযোগে দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন সদস্যের খুনের ঘটনায় শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। মূল ঘটনার ৯৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে। তাতে অভিযুক্ত হিসাবে রাখা হয়েছে দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয় দে এবং প্রসূন দে-র নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। চার্জশিটে সেই ধারাগুলি উল্লেখ করেছে পুলিশ। প্রণয়, প্রসূন দু’জনেই আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একই পরিবারের দুই বধূ এবং এক কিশোরীর দেহ। ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্য গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। বাইপাসের ধারে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মেরেছিল তাঁদের গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন প্রসূন, প্রণয় এবং পরিবারের একমাত্র কিশোর সদস্য প্রতীপ। তাঁদের সূত্রেই ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। কিশোরী প্রিয়ম্বদার মৃত্যুর কারণ খাদ্যে বিষক্রিয়া। দুই বধূ রোমি দে এবং সুদেষ্ণা দে-র মৃত্যু হয়েছে হাতের শিরা কাটার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। এই ঘটনার পর রোমির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে পুলিশ যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বেশ কয়েকটি ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১০৩ (১) ধারা। খুনের অপরাধে শাস্তির নিদান দেওয়া রয়েছে এই ধারায়। বলা হয়েছে, খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে দোষী ব্যক্তির। এ ছাড়া, ১০৯ (১) ধারা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ। সেই ধারা অনুযায়ী, কাউকে খুনের চেষ্টা করলে এবং সেই চেষ্টায় কারও মৃত্যু ঘটলে অপরাধীর ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়াও চার্জশিটে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার তিন এবং পাঁচ নম্বর ধারার উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাংরাকাণ্ডে তিন খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ছোট ভাই প্রসূন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, তিনি বাঁচতে চান না। তাঁকে সহযোগিতা করা এবং খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কিছু দিন আগে গ্রেফতার করা হয় বড় ভাই প্রণয়কেও। এত দিন তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ট্যাংরার দে বাড়ির জীবিত কিশোর আপাতত সরকারি হোমে রয়েছে।

Tangra Case Tangra Murder Case Kolkata Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy