প্রগতি ময়দান থানা চত্বরে জমা আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
থানার ব্যারাকের ভিতরেই ফণা তুলে দাঁড়ানো এক সাপের সামনে চলে এসেছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীটি। অবশ্য সাপ ছোবল মারার আগেই তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
পাড়াগাঁ নয়। এমন ঘটনা কলকাতারই প্রগতি ময়দান থানার। ঘটনায় আতঙ্কিত পুলিশকর্মীদের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, প্রগতি ময়দান থানায় সাপের উপদ্রব দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (পূর্ব ডিভিশন) রূপেশ কুমারও। তবে তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় প্রগতি ময়দান থানায় সাপের উপদ্রব কমেছে। বর্তমানে যে জায়গায় থানা রয়েছে মেট্রোর কাজের জন্য শীঘ্রই সেটি ভেঙে ফেলে অন্যত্র নতুন করে থানা তৈরি করা হবে।’’
প্রগতি ময়দান থানার পিছনেই আড়ুপোতা এলাকা। জায়গাটি পুকুর, জলা-জঙ্গলে ঘেরা। ওই জায়গা বিষাক্ত সাপের আস্তানা বলেই স্থানীয়েরা জানান। থানার পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, পিছনের জঙ্গল থেকে তদন্তকারী আধিকারিকদের ঘরে অন্ধকারে সাপ ঢুকে পড়ে। তাই সন্ধ্যার পরে ভয়ে ভয়ে থাকেন প্রগতি ময়দানের পুলিশকর্মীরা। এক আধিকারিকের অভিযোগ, ‘‘সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মহিলা পুলিশ ব্যারাকের। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য তাঁরা ব্যারাকে থাকতেই ভয় পান।’’
থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে দেখা গেল ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। জানা গেল, পিছনের জলাজঙ্গল থেকে সাপ বেরিয়ে ভাঙাচোরা গাড়িতে আশ্রয় নেয়। এক পুলিশকর্মীর অভিযোগ, ‘‘আমরা এখানে প্রায় প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করি। সন্ধ্যার পরে সকলকেই হাতে টর্চ নিয়ে বেরোতে হয়।’’
থানার পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, লাগোয়া পুকুর, জঙ্গল তো রয়েছেই। থানার ভিতরের শৌচালয়ের অবস্থাও ভালো নয়। শৌচাগার থেকে জল উপচে থানায় ঢুকে যায়। এক পুলিশকর্মীর কথায়, ‘‘বৃষ্টি হলে রেহাই নেই। শৌচাগারের জল উপচে পড়ে থানা চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে।’’ পুলিশকর্মীরা জানাচ্ছেন, সাপের উপদ্রবের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy