Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
water pipe

‘দূষিত’ পানীয় জল খেয়ে মৃত্যু শিশুর, অভিযোগ পরিবারের, দুই ওয়ার্ডে আক্রান্ত ৮০-র কাছাকাছি

পুরসভা জল সরবরাহের প্রধান পাইপে ফুটো হয়ে দূষিত পদার্থ ঢুকে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পুরসভার সরবরাহ করা জলই দূষিত হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

পুরসভার সরবরাহ করা জলই দূষিত হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২১ ১৬:৫৫
Share: Save:

ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার মৃত্যু হল এক শিশুর। পরিবারের বক্তব্য, গত দু’দিন ধরে পেটের অসুখে ভুগছিল আয়ুষী কুমারী। কলকাতা পুরভার সরবারহ করা ‘দূষিত’ পানীয় জল খেয়েই আয়ুষীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

এর আগে পুরসভারই এক কর্মী এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় দূষিত পানীয় জলকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও দূষিত জলের কারণে এই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করেনি কলকাতা পুরসভা। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মৃত পুরকর্মী ভুবনেশ্বর দাস থাকতেন ভবানীপুরের শশিশেখর বসু রোডের পুরসভার শ্রমিক আবাসনে। মৃত মহিলা বন্দির নাম রিমকি তামাং। কী কারণে রিমকির মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও মুখে কুলুপ জেল কর্তৃপক্ষের।

শশিশেখর বসু রোডের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনাগুলি ঘটেছে ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। গত শনিবার থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশুও। পুরসভা জল সরবরাহের প্রধান পাইপে ফুটো হয়ে দূষিত পদার্থ ঢুকে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই দু’টি ওয়ার্ডে যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ঘন ঘন বমি ও মলত্যাগের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম পুর আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে ওই দু’টি ওয়ার্ডে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

water pipe Child Death Case water poisoning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE