E-Paper

দুর্ঘটনার পরে ফিরছে হুঁশ, বিধাননগরে স্কুলের সামনে বসছে স্পিড ব্রেকার

সমস্ত স্কুলের খুব কাছেই রয়েছে গাড়ি চলাচলের রাস্তা। পড়ুয়ারা স্কুল ছুটি হওয়ার পরে দলে দলে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সল্টলেক-সহ বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন স্কুলের সামনে রাস্তায় বসানো হবে স্পিড ব্রেকার। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটার পরে পথ-নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, জেলাশাসকের নির্দেশে এই সংক্রান্ত যে সমস্ত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন স্কুল চত্বরের পথ-নিরাপত্তার বিষয়টি। তার জন্য ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুরসভার তরফে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই সব স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার বসানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সব স্পিড ব্রেকার বসানোর জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডাকা হয়েছে।

বিধাননগর পুলিশ ও পুরসভা সূত্রের খবর, সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে ১২টি এমন স্কুল এ পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলির সামনে পড়ুয়াদের জন্য পথ-নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করছে প্রশাসন। ওই সমস্ত স্কুলের খুব কাছেই রয়েছে গাড়ি চলাচলের রাস্তা। পড়ুয়ারা স্কুল ছুটি হওয়ার পরে দলে দলে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই ওই সব স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি, রাস্তায় জ়েব্রা ক্রসিং ও স্টপ লাইন আঁকার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে, আপাতত দ্রুত পদক্ষেপ করে সিন্থেটিক স্পিড ব্রেকার বসানোর কথাই ভাবা হয়েছে। সেগুলি খুব টেকসই না হলেও দ্রুত বসিয়ে পথ-নিরাপত্তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। এমনই মনে করছে প্রশাসন। ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামতির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এক নম্বর গেটের কাছে একটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিধাননগর পুরসভা দেখেছিল, কেব্‌লের কাজের জন্য রাস্তা ভাঙা অবস্থায় ছিল। তারই জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সন্তান-সহ স্কুটার নিয়ে উল্টে পড়েছিলেন এক মহিলা।

চলতি বছরের শুরুতে এবং গত বছর সল্টলেকে দু’টি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের সামনে বেপরোয়া গতিতে যাওয়া গাড়ির ধাক্কায় এক জনের মৃত্যু হয়। তার পরে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় ‘হাম্প’ তৈরি করে সেখানে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার পড়ুয়ারা। তার আগে গত বছর সল্টলেকে এক নম্বর গেটের কাছে এক মহিলা ভাঙা রাস্তায় স্কুটারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়েছিলেন বাসের গায়ে। যার জেরে স্কুটারের পিছন থেকে পড়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই মহিলার সন্তানের।

এর পাশাপাশি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজটি নিরন্তর ভাবে করার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিশেষত, বহু স্কুলের সামনেই দেখা যায়, অভিভাবক হেলমেট পরলেও সন্তানের মাথা খালি। সে সব ক্ষেত্রে অনেককেই জরিমানা করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও অভিভাবকদের একাংশ সতর্ক হন না বলেই দাবি পুলিশের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bidhannagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy