প্রতীকী ছবি
বন্ধুদের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে এক কিশোরও। সে ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। ফলে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তদন্তকারীরা। আপাতত উভয় পক্ষের মোট পাঁচ কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মারামারির ওই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে, নরেন্দ্রপুর থানার খুদিড়াবাদে। মৃতের নাম বাবু হালদার (১৯)। তিনি এবং জখম কিশোর স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,
এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে বাবুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে আর এক কিশোর ওই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালেও সে ওই কিশোরীকে ফের প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তা থেকেই প্রথমে বাবুর সঙ্গে বচসা বাধে ওই কিশোরের। দু’জনেই তাদের বন্ধুদের এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। শুরু হয় উভয় পক্ষে বচসা। তবে এলাকার বাসিন্দারা ধমকে তখনকার মতো তাদের সরিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত আটটা নাগাদ ফের দু’পক্ষ এলাকায় হাজির হয়। আবার শুরু হয় বচসা। কিছু ক্ষণ পরে এক দল এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আধ ঘণ্টা পরে ফের ফিরে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দা পূজা সরকার বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে এসে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বাবু।’’ দু’দলের সংঘর্ষে গুরুতর জখম ওই তরুণ এবং এক কিশোরকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা ছুরির আঘাত বলেই অনুমান চিকিৎসকদের। বাবুর পরিবারের লোকজনও এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বারুইপুর জেলা
পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এটি খুন। আটক কিশোরদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ওই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।’’ এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘জখম কিশোর এখনও সংজ্ঞাহীন। তার সঙ্গে কথা বলার পরেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy