আটক করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।
রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান তো দূরঅস্ত্, তাঁদের প্রয়াসের স্বীকৃতিও মেলেনি। ডাক আসেনি পুজো কানির্ভালে যোগ দেওয়ারও। এই অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন রূপান্তরকামীদের একাংশ। পুলিশের তরফে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ না-ওঠায় আটক করা হয় তাঁদের কয়েক জনকে। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, কালীঘাট থানায় নিয়ে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত পাঁচ বছর ধরে কলকাতার কালিকাপুর এলাকায় দুর্গাপুজো করে আসছে শহরের রূপান্তরকামীদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রান্সজেন্ডার হিজরা অব বেঙ্গল।’ সংগঠনের অভিযোগ, বড় বড় পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি অনুদান পেলেও তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ বছরও তারা সরকারি সাহায্য পেতে আবেদন জানায়। সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে খরচের হিসাব দিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। তা সত্ত্বেও মেলেনি ৬০ হাজার টাকার পুজো অনুদান।
বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনতে তাঁর বাড়ির সামনে একজোট হওয়ার ডাক দেন সমাজকর্মী রঞ্জিতা সিংহ। সেই মতো বুধবার বিকেলে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হতেই বিক্ষোভ তুলতে বলা হয় পুলিশের তরফে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তা না-শোনায় তাঁদের অন্তত ২০ জনকে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশি হেনস্থারও অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। থানা থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে হয় পরীক্ষা। রঞ্জিতা বলেন, ‘‘আজ থেকে আমরা জেহাদ ঘোষণা করছি। এই রাজ্যে আমাদের কিচ্ছু হবে না। এ বার ধীরে ধীরে বড় আন্দোলনের নামার পরিকল্পনা করছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy