বৃষ্টি উপেক্ষা করে যোধপুর পার্কের মণ্ডপে ছাতা নিয়ে দর্শকরা। নিজস্ব চিত্র।
সকালের দিকে হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতেই মুখটা বেজার হয়ে গিয়েছিল বেহালা সখেরবাজারের বাসিন্দা রিঙ্কি বিশ্বাসের। প্রায় আধ ঘণ্টা পাড়ার প্যান্ডেলে বন্ধুদের সঙ্গে ঠায় বসে থাকতে হয়েছে। বৃষ্টি থামতে অবশ্য বন্ধুদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে বছর বারোর রিঙ্কি। সপ্তমীর সকালে রিঙ্কির মতো আরও অনেক কচিকাঁচার মুখ বেজার হয়েছে।
তবে আশঙ্কার মেঘ এখনই কাটছে না। সপ্তমীর সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায়। কোথাও কোথাও ইতিমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। তবে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব দর্শকদের। ইতিমধ্যেই ছাতা নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর পাশাপাশি মৌসুমী বায়ুও সক্রিয় রয়েছে। তার প্রভাবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। নবমী এবং দশমীতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেহেতু বর্ষার সময়কালের মধ্যে এ বছর পুজো পড়েছে, তাই বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তার উপরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় মাঝেমধ্যে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা প্রবল। চতুর্থীর সকালে যে ভাবে বৃষ্টি নেমেছিল, তাতে অনেকেরই মনে হয়েছিল এ বার পুজো বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাবে। কিন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতর আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, অষ্টমী পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দফায় দফায় বৃষ্টি হবে।
এ দিন সকালে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হয়েছে। হাওড়ার কোথাও কোথাও বৃষ্টির জেরে সাময়িক জল জমে গিয়েছে। বিকেল চারটের পর ফের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে কলকাতা।
আরও পড়ুন: আগামী বছরে মহালয়ার ৩৬ দিনের মাথায় মহাসপ্তমী!
আরও পড়ুন: উত্তর কলকাতার শহরতলির আরও কিছু সেরা পুজো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy