প্রতীকী ছবি।
নেট দুনিয়ায় ডাক্তারদের এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ মাস আড়াই আগে। রাজ্যের নয়া ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের বিরুদ্ধে এবং চিকিৎসকদের উপরে ক্রমাগত হামলার প্রতিবাদে একাধিক চিকিৎসক সংগঠনের ডাকা সভায় এই সংগঠনের সদস্যেরা গিয়েছিলেন। সেখানে সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁরা। নতুন আইনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা লড়াতে এই সংগঠন বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’ নামে ওই সংগঠনের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়াতেই তাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আটকে দিয়ে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দিন দশেক আগে তারা উকিলের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারের ‘অফিস অব দ্য রেজিস্ট্রার অব ফার্মস, সোসাইটিজ অ্যান্ড নন-ট্রেডিং কর্পোরেশনস’-এ।
সংগঠনের তরফে চিকিৎসক রেজাউল করিম, অর্জুন দাশগুপ্তদের দাবি, তাঁরা বহু বার রেজিস্ট্রেশন অফিসে গিয়েছেন। প্রথমে বলা হয়, সংগঠনের নামে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ লেখা যাবে না। পরে জানানো হয়, ‘ফোরাম’ লেখা যাবে না। এর পরে মৌখিক ভাবে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনই মিলবে না। ‘চ্যারিটেবল সোসাইটি’ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন না পেয়ে তাঁরা ‘ট্রাস্ট’ হিসেবে নিজেদের নথিভুক্ত করেছেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) রাজ্য শাখার মতো তোষামোদকারীদের সরকারের পছন্দ। প্রশ্ন তুললেই মুশকিল।’’ যা শুনে রাজ্য আইএমএ-র তরফে শান্তনু সেনের মন্তব্য, ‘‘ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই সংগঠনগুলো শুধু নিজেদের আখের গোছাতে এসেছে।’’
কেন রেজিস্ট্রেশন আটকানো হল, তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীরাও। রেজিস্ট্রার অব ফার্মস, সোসাইটিজ অ্যান্ড নন-ট্রেডিং কর্পোরেশনস দীপক রায়চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘অল্প দিন হল এই পদে এসেছি। বিষয়টি জানি না।’’ তাঁর পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রার বাবুলাল হেমব্রম বলেন, ‘‘ওই অফিস ছেড়ে এসেছি। কিচ্ছু বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy