প্রতীকী ছবি।
রাস্তা সংলগ্ন নয়ানজুলির পাশে ইটের স্তূপ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছিল এক যুবকের মৃতদেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই যুবককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক জনকে।
এ দিন সকালে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌলিহাটিতে দীপক শাহ (২৪) নামে এক যুবকের দেহ মেলে। তিনি অ্যাপ-বাইক চালাতেন। থাকতেন তিলজলা থানা এলাকায়। দেহের পাশেই রাখা ছিল তাঁর মোটরবাইক। দীপককে খুনের অভিযোগে রাতেই দীনেশ লাল নামে বালিগঞ্জ থানা এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সে অপরাধ কবুল করেছে। জেরায় সে জানিয়েছে, দীপকের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দীনেশের দাবি, তার স্ত্রীর সঙ্গে নিজের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন দীপক। বুধবার সে কথা দীনেশকে জানান তার স্ত্রী। এর পরেই দীপককে খুন করার ছক কষে দীনেশ। কী ভাবে সে দীপককে খুন করল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের অনুমান, দীপককে অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহটি ওই জায়গায় ফেলে যায় দীনেশ। তদন্তকারীদের ধারণা, সম্ভবত ভোরের দিকেই ওই দেহটি ফেলে যাওয়া হয়েছে। কারণ, ওই এলাকাটি নির্জন হলেও রাতে পুলিশি টহলদারি চলে। কিন্তু ভোরে টহলদারি বন্ধ থাকে।
এলাকায় টহলদারি চলে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, থানার দূরত্ব সেখান থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার। তাই পুলিশের তেমন নজরদারি নেই সেখানে। বছর দেড়েক আগে ওই অঞ্চলের তিউরিয়া নামে একটি জায়গায় বাগানবাড়ির মধ্যে স্বামী-স্ত্রীকে খুন করার পরে দেহ দু’টি টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরে ফেলে রেখে গিয়েছিল আততায়ীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশি নজরদারি নেই বলেই সেখানে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। খেয়াদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোরাচাঁদ নস্কর বলেন, ‘‘এই এলাকা থেকে থানা অনেক দূরে। পুলিশি নজরদারি নেই। অবিলম্বে এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy