ঘড়ির কাঁটার হিসেবে বারো ঘণ্টাও নয়। তারই মধ্যে দু’টি এলাকায় দুই মহিলার গয়না ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধ্যায় যাদবপুরে। পরেরটি বৃহস্পতিবার ভোরে হরিদেবপুরে। দু’টি ঘটনায় অবশ্য রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি গোয়েন্দারা।
শহরে গত কয়েক মাসে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বেশির ভাগ সময়েই এর শিকার হচ্ছেন মহিলারা। যেমন, ১৪ জুন ইলিয়ট পার্কে প্রাতর্ভ্রমণ করতে আসা এক মহিলার সোনার হার ছিনতাই করে পালায় এক যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রের হিসেবে, মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ছ’জন মহিলার গয়না ছিনতাই হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায়ও যাদবপুরে কল্পনা আচার্য নামে এক মহিলার গলার হার ছিনতাই হয়। পুলিশ জানায়, কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। তখন দুই যুবক বাইকে এসে তাঁর হার ধরে হ্যাঁচকা টান দেয় এবং তিনি কিছু বোঝার আগেই তা ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। এমনকী যাওয়ার সময়ে তারা কল্পনাদেবীকে ধাক্কা মেরে পালায়। কল্পনাদেবী লোকজন ডাকার আগেই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। পরে যাদবপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে কল্পনাদেবীর বাড়িতে যায়। তাঁর ছেলে চিত্রেশ ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার ভোরেও অনেকটা একই কায়দায় ছিনতাই হয় হরিদেবপুরে। কৈলাস ঘোষ রোডের বাসিন্দা সীমা ঘোষ সকাল ৬টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে যান। তখন সাইকেলে চেপে এসে এক দুষ্কৃতী তাঁর কানের দুল ছিনিয়ে পালায়।
বছর দুয়েক আগে কলকাতায় ছিনতাইয়ের রমরমা বেড়ে গিয়েছিল। এমনকী, কসবা-ঢাকুরিয়ায় ছিনতাই করতে এসে গুলিও চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে লালবাজার বেশ কয়েক জনকে ধরপাকড় করে। লাগাম টানে ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও। কিন্তু এ বার ফের তা মাথা চাগাড় দিচ্ছে বলেই লালবাজারের একাংশের দাবি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েক জন ছিনতাইবাজ সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছিনতাইগুলির সঙ্গে তারা কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy