মহানগরের রাস্তায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে বারবারই দাবি করেছেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। টহলদার পুলিশ যাতে শহরের সব জায়গায় নজরে পড়ে, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু সেই দাবি যে কতটা অসাড়, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল শনিবার রাতে রিচি রোডে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায়।
বছর দু’য়েক আগে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, কসবায় মোটরবাইকে সওয়ার ছিনতাইবাজদের দাপটে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারী মহিলারা। সে সময়ে ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গিয়ে কসবায় গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন এক মহিলা। গত বছরের গোড়ার দিকেও বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, তপসিয়া, তিলজলা, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া, কলকাতা পুলিশের সংযোজিত এলাকাতেও হামেশাই প্রকাশ্যে ছিনতাই বা লুঠের ঘটনা ঘটে চলেছে।
সেই কারণেই শহরের রাস্তায় রাস্তায় পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা হয়। এর কিছুদিন পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কয়েক জন ছিনতাইকারী ধরা পড়ে। ওই সময়ে পুলিশকর্তারা দাবি করেছিলেন, ছিনতাইকারীদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ থাকার পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রিচি রোডে যে ভাবে এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে গলার হার ছিনতাই করেছে মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক, তাতে পুলিশি নজরদারির দাবির উপরে ফের প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা সোমবার জানিয়েছেন, রিচি রোডের মতো অভিজাত এলাকায় পুলিশের নজরদারি অনেকটাই বেশি থাকার কথা। তা থাকতেও ছিনতাই হলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই আসে। লালবাজারের আরও এক কর্তার বক্তব্য, কলকাতার মতো জনবহুল শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে থাকলে এক দিকে নাগরিকেরা যেমন দুশ্চিন্তায় পড়েন, তেমনই পুলিশবাহিনীর মনোবলও তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
যদিও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ মনে করেন না, শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে এবং তার ফলে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কোনও রকম অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধ দমন করা হয়েছে। অপরাধীদেরও গ্রেফতার করা হয়। সেই কারণেই ছিনতাইয়ের ঘটনা আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy