লিবারেশন-এর পলিটব্যুরো বৈঠকের পরে পার্থ ঘোষ, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, কবিতা কৃষ্ণন। মৌলালি যুব কেন্দ্রে। —নিজস্ব চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবতীয় রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন মুসলিমেরা। আরএসএস এবং বিজেপি এই আন্দোলনকে ‘মুসলিম প্রতিবাদ’ বলে তকমা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে, অ-মুসলিমদের জন্য কোনও বিপদ নেই। এই ‘ভুল প্রচারে’র মোকাবিলায় হিন্দু এলাকায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য সব বাম শক্তিকে আহ্বান জানাল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ময়দানে নামলেও এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের পরিস্থিতি নেই বলে জানালেন লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
কলকাতায় মৌলালি যুব কেন্দ্রের চার তলায় সম্মেলন-কক্ষে সোম ও মঙ্গলবার বসেছিল লিবারেশনের পলিটব্যুরো বৈঠক। তার পরে দীপঙ্করবাবু এ দিন বলেন, ‘‘সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে যে ভাবে জনজাগরণ ঘটছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু প্রচারের ভরকেন্দ্র গ্রামাঞ্চলেও নিয়ে যেতে হবে। বামেদের হিন্দু গণভিত্তির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, মাদক খাওয়ানোর মতো করে সঙ্ঘ-বিজেপি হিন্দু এবং অ-মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে চলেছে যে, তাঁদের কোনও বিপদ নেই। এই বিভ্রান্তিকর প্রচারের মোকাবিলা আমাদের করতে হবে।’’ বিজেপির ‘বাংলাদেশি’ প্রচারের ধাক্কায় বাংলাভাষী শ্রমিকেরা ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পদে পদে বিপদে পড়ছেন বলেও দীপঙ্করবাবুদের আশঙ্কা। নাগরিকত্ব আইন এবং নতুন শ্রম আইন— এই দুই জোড়া বিপদ মোকাবিলার ডাক দিয়ে লিবারেশনের শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ-এর সর্বভারতীয় সম্মেলন এ বার হতে চলেছে নৈহাটিতে। দেশের সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে বাছ-বিচার সরিয়ে রেখে কংগ্রেস-সহ নানা দলের সঙ্গেই তাঁরা আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন বলে জানান দীপঙ্করবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy