চলতি বছরের গোড়ায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে টানা আড়াই মাস ধরে স্বাস্থ্যশিবির করেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পোশাকি নাম ছিল ‘সেবাশ্রয়’। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে তার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে চলেছে। এরই মধ্যে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামেও ওই কর্মসূচি করার আর্জি পাচ্ছে অভিষেকের দফতর। সেই নন্দীগ্রাম, যা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র। সেই কারণেই সেখান থেকে ওই আর্জি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
অভিষেকের দফতর সূত্রের খবর, গত পাঁচ-সাত দিনে নন্দীগ্রাম থেকে গড়ে শপাঁচেক ফোন এসেছে এক ডাকে অভিষেক টোল-ফ্রি নম্বরে। নির্দিষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে অভিষেককে অবগত করা হয়েছে। শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রামে তিনি ওই শিবির করবেন কি না, তা তাঁর সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে।
আরও পড়ুন:
প্রথম পর্বের ‘সেবাশ্রয়’ নানা দিক থেকে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে শিবির শুরুর সপ্তাহ দুয়েক কাটার পরেই দেখা গিয়েছিল, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, হুগলির গোঘাটের মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও অনেক শিশু এবং বৃদ্ধকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন এলাকার শিবিরে হাজির হচ্ছেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। তবে ডায়মন্ড হারবারে শিবির শুরুর আগে দীর্ঘ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ছিল। ফলে নন্দীগ্রামের বিষয়টিতে অভিষেক অবগত থাকলেও আজ বাদে কাল সেখানে এই ধরনের কর্মসূচি শুরু করে দেওয়ার ‘বাস্তবতা’ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনিতেই নন্দীগ্রাম তৃণমূলের কাছে ‘ইজ্জতের আসন’। গত বিধানসভা ভোটে এই আসনে লড়েই শুভেন্দুর কাছে হারতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বারেও নন্দীগ্রাম নিয়ে পৃথক পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। ক্ষত মেরামত করতে নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের নেতাদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠকও করবেন অভিষেক। বাকি রাজ্যের সমস্ত ব্লকের বৈঠক হয়ে গেলেও নন্দীগ্রাম বাকি রেখেছেন তিনি। হলদি নদীর তীরে বিজেপির ‘দুর্গে’ হানা দিতে কি ডায়মন্ড হারবার মডেল অনুসরণ করা হবে? এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। তবে অভিষেক বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত।