মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেক সংগৃহীত।
নির্বাচনী খরচ নিয়ে তদন্ত চেয়েছিলেন আগেই। এ বার বিজেপির টাকাপয়সা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চায় বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বিজেপি এবং এবং নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। তার বদলে গত পাঁচ বছরে শুধুই নিজেরাই থোকা থোকা টাকা করেছেন।’’
নোটবন্দি করে দেশের অর্থনীতিকে প্রধানমন্ত্রী ভেঙে দিয়েছেন এ দিন বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। সেই টাকা থেকে ১৫ লক্ষ করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দেবেন বলেছিলেন। কোথায় গেল সেই টাকামোদীবাবু? আপনার দলের টাকা কত বেড়েছে? কতসম্পত্তি বেড়েছে? কোথা থেকে এল এত টাকা? তার হিসাব হবে না?’’ নোটবন্দি নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘‘কার স্বার্থে নোটবন্দি করেছিলেন মোদী? ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশের সর্বনাশ করেছেন মোদী। ব্যাঙ্কগুলির এমন হাল করে রেখেছেন যে আগামী দিনে জমা টাকা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।’’
গত কয়েকদিনে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এনআরসি চালু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনি তা হতে দেবেন না বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এনআরসি-র নামে অসমে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে, যার মধ্যে ২২ লক্ষ হিন্দু। বাঙালিও রয়েছে। আমি ফিরহাদ হাকিম, ডেরেক ও’ব্রায়েনদের পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় ওদের। সেইসময় কোনও দলকে পাশে পাইনি। তা সত্ত্বেও জানিয়ে দিয়েছিলাম, কাউকে তাড়াতে দেব না আমরা। আজও অসমের পাশে রয়েছি আমরা। বিজেপি বলে ভোট দিন এনআরসি করব। আমি বলছি, হাত লাগিয়ে দেখুক।’’
আরও পড়ুন: ৪০ তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন! চাঞ্চল্যকর দাবি মোদীর, ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তৃণমূলের
আরও পড়ুন: ভোট দিয়েই অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম
২০১৪-য় অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন কোটি লোকের চাকরি গিয়েছে। আত্মহত্যা করেছেন ১২ হাজার কৃষক। দেশ জুড়ে সংখ্যালঘু ও দলিতদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। এখন বাংলায় নজর পড়েছে ওদের। এ খানেও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা করাতে চাইছে।’’কিন্তু বাংলার মানুষ তা হতে দেবেন না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy