নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করছেন মেদিনীপুরের জেলাশাসক। -নিজস্ব চিত্র।
যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পালিত হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় দিনটি। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা ১৫ মিনিটে সাইরেন বেজে ওঠার পাশাপাশি শাঁখ বেজে ওঠে সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আয়োজিত নেতাজির জন্মদিন পালন অনুষ্ঠান হয় শহরের রবীন্দ্র নিলয়ে। সেখানে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতেও মাল্যদান করেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার। করোনা বিধি মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অন্য দিকে ঝাড়গ্রামে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান ও জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি এবং পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সবংয়ে নেতাজির জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে সাংসদ মানস ভূঁইয়া হাজির ছিলেন।
মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্য মেনে এ বছরও নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে ১০ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবের ৫৬ তম বর্ষে পদার্পণ করল এ বারের এই ১০ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতা। জেলা ছাড়া রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকেও এসেছিলেন প্রতিযোগীরা। মোট ১৩০জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রথম স্থান অর্জন করেন অমিত জাঙ্গী। সময় নেন ৫০ মিনিট ২১ সেকেন্ড। দ্বিতীয় হন আরিফ আলি। প্রথমের থেকে ১০ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়েছেন তিনি। তৃতীয় মহেন্দ্র গুরজার দ্বিতীয়ের থেকে আরও ১০ সেকেন্ড বেশি সময় নেন। প্রতিযোগিতার শেষে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সফলদের হাতে।
তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান ছাড়াও সমাজসেবামূলক কর্মসূচি নেন অনেকে। মেদিনীপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে সাইকেল র্যালি করে একটি সংস্থা।শহরের কয়েকজন যুবক একটি সংস্থার উদ্যোগে ওড়িশার কটকে গিয়েছেন। যাওয়ার আগে মধ্যরাতে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy