তিন মাসে দু’দফায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহ। এটা মেদিনীপুর আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতির হিসেব!
আইনজীবীরা দাবি করছেন, বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থেই তাঁদের কর্মবিরতি। তবে বেশিরভাগ বিচারপ্রার্থী এই দাবি মানছেন না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচারপ্রার্থীর কথায়, ‘‘কর্মবিরতিতে কোনও সুরাহা হয় না। বিচার বন্ধ থাকলে আদালতে আরও বেশি করে মামলা জমে। বিচারপ্রার্থীরা আরও বেশি সমস্যায় পড়েন।’’ বুধবার দুপুরে এক বিচারপ্রার্থীর ক্ষোভ, ‘‘বাসে করে জেলা আদালতে এসেছিলাম। কাজ হল না। আবার বাসে চেপেই বাড়ি ফিরে যেতে হবে। টাকা যেমন খরচ হল, তেমন দিনটাও পণ্ড হয়ে গেল!’’
হাওড়া আদালতের কিছু আইনজীবী আক্রান্ত হয়েছেন, এই অভিযোগে গত মে মাসে গোটা রাজ্যে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আইনজীবীরা। মেদিনীপুরেও সেই কর্মবিরতি হয়। তখন সপ্তাহ তিনেক ধরে কর্মবিরতি চলে। জুলাইয়ের গোড়া থেকে ফের মেদিনীপুর আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দু’সপ্তাহ পেরিয়ে তা এখনও চলছে। এরমধ্যে একদিন আদালতের সামনে অবরোধও করেছিলেন আইনজীবীরা। অবরোধের জেরে ওই দিন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকেরা আদালতে ঢুকতে পারেননি। আন্দোলনরত আইনজীবীদের দাবি, খড়্গপুরে অবৈজ্ঞানিক ভাবে নতুন আদালত চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক থেকে জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের কাছে নিজেদের আট দফা দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।