Advertisement
E-Paper

Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলার আগে ঘুম নেই কোলাঘাটের হোগলা গ্রামে

কোলাঘাটের নগুরিয়া গ্রাম থেকে গঙ্গাসাগরের অস্থায়ী শিবিরের জন্য হোগলার চাদর সরবরাহের রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮
গঙ্গাসাগরে ছাউনি তৈরির জন্য পৌঁছে গিয়েছে কোলাঘাটের হোগলা।

গঙ্গাসাগরে ছাউনি তৈরির জন্য পৌঁছে গিয়েছে কোলাঘাটের হোগলা। নিজস্ব চিত্র।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু তৈরির কাজ শেষ করতে উদ্যোগী স্থানীয় প্রশাসন। জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগর মেলায় তাঁবু তৈরির অধিকাংশ হোগলা যায় কোলাঘাট থেকে। তাই পৌষ সংক্রান্তির আগে ব্যস্ত কোলাঘাটের নগুরিয়া গ্রামের হোগলাশিল্পীরা।

কোলাঘাটের নগুরিয়া গ্রাম থেকে গঙ্গাসাগরের অস্থায়ী শিবিরের জন্য হোগলার চাদর সরবরাহের রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। প্রতি বছর কার্তিক মাস থেকে নগুরিয়ার মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েন হোগলার চাদর তৈরি করতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী, কোলাঘাট ও গেঁওখালি এলাকায় রূপনারায়ণের চরে জন্মায় হোগলা ঘাস। কার্তিক মাসের প্রথম দিকে সেগুলি কাটা হয়। স্থানীয়দের থেকে প্রয়োজন মতো পাতা কিনে নেন নগুরিয়ার হোগলা ব্যবসায়ীরা। তা থেকেই তৈরি হয় দু’টি আকারের হোগলার চাদর। মকর সংক্রান্তির বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি নৌকোয় করে পাঠানো হয় গঙ্গাসাগরে।

নগুরিয়া গ্রামের প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী হোগলার চাদর তৈরির কাজ করেন। বিশ্বজিৎ আদক, গোপাল কারক, প্রদীপ আদকেরা পৈতৃক সূত্রে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এঁদের বাবা-কাকারা ৪০ বছর আগেও গঙ্গাসাগরে হোগলা পাতার চাদর সরবরাহের কাজ করতেন। বিশ্বজিৎ জানান, প্রতি বান্ডিল হোগলা কিনতে খরচ হয় ৪০০ টাকা। এক বান্ডিল হোগলা থেকে সাতটি বড় এবং তিনটি ছোট চাদর তৈরি করা যায়। চাদর বানানোর জন্য কাঁচা হোগলাকে রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর প্রয়োজন মতো আকারে সেগুলি কেটে ফেলা হয়। তারপর সুতোর সাহায্যে এক একটি হোগলা ঘাসকে জুড়ে তৈরি করা হয় চাদর। সাড়ে ৮ ফুট বাই ৬ ফুট এবং সাড়ে ৭ ফুট বাই ৫ ফুট—এই দু’টি আকৃতির চাদর তৈরি করা হয়।

মেলায় ছাউনির জন্য প্রায় ৭০ হাজার হোগলার চাদর দরকার হয়। বড় চাদর ১৪০ টাকা এবং ছোট ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয় মেলায়।যাঁরা হোগলার চাদর তৈরি করেন তাঁদের ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে দৈনিক মজুরি জোটে। সারা বছর চাষের কাজের পাশাপাশি হোগলার চাদর তৈরি করে বাড়তি আয় করেন নগুরিয়ার বাসিন্দারা।

বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘এবার হোগলার চাহিদা বেশ ভাল রয়েছে। রূপনারায়ণের চরে প্রচুর হোগলা জন্মেছিল। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের হোগলা দিয়েই এবার সাগর মেলার সিংহভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে।’’ গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হরিপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে আসছেন। ইতিমধ্যে আমরা ৭০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছি। প্রতি বছরের মতো এবারও পুণ্যার্থীদের জন্য হোগলার তাঁবু তৈরি করা হচ্ছে। কোলাঘাট থেকেই এসেছে হোগলার চাদর।’’

Gangasagar Mela Kolaghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy