প্রশাসক: ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ডিএম অফিসের সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
জেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে পড়ে থাকে ইমারতি সামগ্রী। অভিযোগ, তার জেরে হামেশাই ঘটে দুর্ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর আগে সেই সব ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে ফেলতে নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুরে আসার কথা রয়েছে। দিঘায় তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। তাঁর সেই সফরকেই মাথায় রেখে নন্দকুমার থানার পুলিশ ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে নন্দকুমার থানা, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ইমারতি দ্রব্য পড়ে থাকার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আগেও ওই সব দ্রব্য সরাতে সচেষ্ট হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সে সব দ্রব্য ফের রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে।
এ বার মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য অতিথি এবং সাধারণ মানুষের যাতাযাতের সুবিধার্থে ইমারতি দ্রব্য দ্রুত সরাতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে। এর জন্য আগামিকালের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নন্দকুমার থানা। উল্লেখ্য, হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক, নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়ক-সহ ব্লকের বিভিন্ন রাস্তার পাশে রাখা ইমারতি দ্রব্যের জন্য দুর্ঘটনা ঘটার একাধিক উদাহরণ রয়েছে।
চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে নন্দকুমার থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা আগেও ওই সব ইমারতি সামগ্রী সরাতে গিয়েছি। হামেশাই শুনতে হয়েছে ওই সব সামগ্রী পঞ্চায়েতের। তাই এবার পঞ্চায়েতকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’
ইমরাতি দ্রব্য সরানো প্রসঙ্গে কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসুদেব মন্ত্রী বলেন, ‘‘চিঠি এখনও হাতে পায়নি। তবে আমাদের এলাকায় রাস্তার পাশে ইট, পাথর, বালি রাখার প্রবণতা রয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ পেলেই সেগুলি সরিয়ে দেওয়ার হবে।’’
পুলিশ ইমারতি দ্রব্য সরাতে এত তৎপর হলেও স্থানীয়দের কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ফিরে গেলেই রাস্তায় ইমারতি ফের ফিরবে না তো!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy