ট্রেন থেকে মহিলা পড়ে যেতেই সহযাত্রীরা তৎক্ষণাৎ চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে কাঁথি স্টেশনে নিয়ে আসে। মায়ের এই অবস্থা দেখে লক্ষ্মীর তিন বছরের ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে গায়েব হয়ে যান মহিলার স্বামী। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। জখম মহিলা ও তাঁর শিশুপুত্রকে কাঁথি স্টেশনে নামিয়ে ট্রেনটি চলে যায়।
ফাইল ছবি
দিঘা থেকে পাঁশকুড়াগামী লোকাল ট্রেনে স্বামী ও সাড়ে তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে সওয়ার হয়েছিলেন পাঁশকুড়ার কনকপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মী হালদার। আশাপূর্ণাদেবী রেল স্টেশন পেরিয়ে আসার সময় আচমকাই ট্রেন থেকে পড়ে যান লক্ষ্মী। সহযাত্রীদের দাবি, সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়েছেন ওই মহিলা।
ট্রেন থেকে মহিলা পড়ে যেতেই সহযাত্রীরা তৎক্ষণাৎ চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে কাঁথি স্টেশনে নিয়ে আসে। মায়ের এই অবস্থা দেখে লক্ষ্মীর তিন বছরের ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে গায়েব হয়ে যান মহিলার স্বামী। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। জখম মহিলা ও তাঁর শিশুপুত্রকে কাঁথি স্টেশনে নামিয়ে ট্রেনটি চলে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এরপর ওই মহিলা বেশ কিছু সময় স্টেশনে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে ছুটে স্টেশনে ছুটে আসেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা। তাঁদের তৎপরতায় মহিলাকে হাসপাতালে ভর্ত করানো হয়।
শেষ পর্যন্ত রেলপুলিশের সহযোগিতায় জখম মহিলাকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে এই ঘটনায় মহিলার স্বামীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। মহিলার স্বামীর খোঁজ করছে পুলিশ। ঠিক কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রেল পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy