ভিন্ রাজ্যে আলু যাওয়ার ছাড়পত্র মিলছে না- প্রতিবাদে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আজ অর্থাৎ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের অফিসে সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপিও দেবেন সকলে। প্রগ্রতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক বরেন মণ্ডল বলেন, “জেলায় এখনও প্রায় ৪০ লক্ষ প্যাকেট (প্রতি প্যাকেটে ৫০ কেজি) আলু রয়েছে। নভেম্বর শেষ হলেই হিমঘর থেকে আলু বের করে নিতে হবে। তাছাড়াও নতুন আলুও এ বার উঠতে শুরু করবে। এই ক’দিনে জেলায় বড় জোর ৪ লক্ষ প্যাকেট বীজ ও খাবার হিসাবে লাগবে। বাকি আলুর কী হবে? তাই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।”
অবশ্য রাজ্য জুড়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হচ্ছে না। রাজ্যের অন্য জেলার কৃষক বা ব্যবসায়ীরা সামিল না হলেও জেলার কয়েক হাজার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল করতে উদ্যোগ নিয়েছেন সকলে। প্রথমে মিছিল মেদিনীপুর শহর পরিক্রমা করবে। তারপর মিছিল হাজির হবে জেলাশাসকের অফিসের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। কেন কেবলমাত্র জেলায় এই কর্মসূচি? ব্যবসায়ীদের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আলুর মান ততটা উন্নত নয়। ফলে এই আলু কলকাতা বা রাজ্যের অন্য জেলার মানুষ খান না। তা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়েই যায়। প্রথমের দিকে সামান্য হলেও ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে দিনে ১৭০০ মেট্রিক টন ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর সরকারি অনুমতি মিলছিল। ১৩ নভেম্বর টাস্কফোর্সের বৈঠকের পর আর কোনও অনুমতিই মিলছে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদন নিবেদন করে আরও কিছুদিন হিমঘরে রাখা যায় এটা ঠিক। কিন্তু তখন নতুন আলু আলু উঠতে শুরু করলে আলুর দাম কমেবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy