সবিস্তার বিধি (এসওপি) প্রকাশ করে নবান্ন জানিয়ে দিল, কী ভাবে পরিচালিত হবে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। সদ্য প্রকাশিত ওই এসওপি-তে বলা হয়েছে, ১৪ ধরনের কাজের প্রস্তাব নেওয়া যাবে শিবিরগুলি থেকে।
আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, যে কাজগুলি করতে বলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় বরাদ্দেই হয়ে আসছে। সেই প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ এখনও আটকায়নি। তবে রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ে কাজের তালিকায় কিছু রাখা হয়নি। গোটা রাজ্যে রাস্তার যা হাল, তাতে সেই অভিযোগ এলে তা কী ভাবে সামাল দেবেন আধিকারিকেরা, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে!
এসওপি-তে বলা হয়েছে, নিকাশি, জল সরবরাহ, রাস্তার আলো, সাধারণ শৌচাগার, আইসিডিএস কেন্দ্র- প্রাথমিক স্কুলগুলির উন্নয়ন, পুকুর-জলাভূমির সংস্কার, বাজার এলাকা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পরিবহণ, সবুজায়ন এবং বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজকর্মের প্রস্তাব নেওয়া যাবে। অভিজ্ঞ আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর মধ্যে নিকাশি, জল সরবরাহ, রাস্তার আলো, শৌচাগারের মতো কাজ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দে করা যায়। এত দিন তা-ই হয়ে এসেছে। আবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতাতেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিকাশি, শৌচালয় ইত্যাদির কাজ হয়ে থাকে। একশো দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ থাকলেও, এই প্রকল্পগুলির অর্থ এখনও অবাধ। ফলে মনে করা হচ্ছে, পাড়া কর্মসূচির তালিকাভুক্ত কাজের বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় বরাদ্দেই সেরে ফেলা সম্ভব।
এক কর্তার কথায়, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দেওয়া পুরো বরাদ্দের খরচ এখনও বাকি রয়েছে। চাপ রয়েছে, পড়ে থাকা সেই অর্থ খরচের ব্যাপারেও। এই কাজগুলি সেই অর্থে করা গেলে বকেয়া খরচ করে ফেলা সম্ভব। আবার রাজ্যের কোষাগারের উপরে তেমন চাপও আসবে না।” প্রসঙ্গত, গোটা কর্মসূচিতে আট হাজার কোটি টাকা খরচের বার্তা দিয়েরেখেছে নবান্ন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)